ম্যার্কেল আবার গেলেন আংকারায়
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর সঙ্গে ম্যার্কেলের সাক্ষাতের পর উভয়েই উদ্বাস্তু সংকটের একটি ইউরোপীয় সমাধানের উপর জোর দেন৷
তার পর পরই ম্যার্কেল আবার গেলেন তুরস্কে, কেননা ম্যার্কেলের ‘ইউরোপীয় সমাধানের' একটি গুরত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো এই দেশটি৷ গত অক্টোবর মাসেই ম্যার্কেল তুরস্কে গিয়েছিলেন৷ মন্ত্রী পর্যায়ে জার্মান-তুর্কি সরকারি আলাপ-আলোচনাও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র মাসখানেক হলো৷ গত নভেম্বরে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে তিনশ' কোটি ইউরো পাবে উদ্বাস্তু ত্রাণ খাতে – পরিবর্তে তুরস্ক ইউরোপের বহির্সীমান্ত রক্ষায় সাহায্য করবে৷
ম্যার্কেলকে আংকারায় গার্ড অফ হনার দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু৷ দ্বিপ্রহরে ম্যার্কেল তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান-এর সঙ্গেও মিলিত হচ্ছেন৷
তুরস্কে ইতিমধ্যেই প্রায় সাতাশ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তু অবস্থান করছে – অপরদিকে আলেপ্পোয় সরকারি সেনাদলের সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে ৩৫ হাজারের বেশি উদ্বাস্তু এখন তুরস্ক সীমান্তে এসে জমা হয়েছে৷ এই নতুন স্রোতের মুখে তুরস্ক তার সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে, কিন্তু উদ্বাস্তুদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে৷ ম্যার্কেল দৃশ্যত তুর্কি নেতৃত্বকে সীমান্ত খোলা রাখতে অনুরোধ করবেন – কিন্তু কোন সীমান্ত? যা নিয়ে টুইটারে ঠাট্টা চলেছে৷ অ্যান্ড্রু স্ট্র্যোলাইনের ভাষ্যে ম্যার্কেল আংকারাকে বলছেন, ‘সীমান্ত খুলে দাও! না, দাঁড়াও, ঐ সীমান্ত নয়৷ বরং অন্যটা...৷'
জার্মানিতেও সকলে যে ম্যার্কেলের এই নতুন তুরস্ক যাত্রায় সুখি, এমন নয়৷ ইউরোপীয় পর্যায়ে জার্মান উদারপন্থিদের নেতৃস্থানীয় রাজনীতিক আলেক্সান্ডার গ্রাফ লাম্সডর্ফ এই সফরকে অপ্রয়োজনীয় বলে চিহ্নিত করেছেন, এবং জার্মান সরকারের কাছ থেকে একটি ‘‘সংগঠিত উদ্বাস্তু নীতি'' দাবি করেছেন৷ এমনকি জার্মানির তুর্কি সমিতিও ম্যার্কেলকে তাঁর এই সফরে তুরস্কে মানবাধিকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করতে বলেছে৷
‘গোলাপি সোমবারে' জার্মানির মানুষ কার্নিভাল নিয়ে মত্ত হলেও, তারাও উদ্বাস্তু সমস্যাকে ভুলে যাননি৷ কার্নিভালের এই ফ্লোটটিতে যেরকম লেখা রয়েছে: ‘তুমি কি আমাদের বোকা পেয়েছো? পিপে যে ছাপিয়ে উঠল! ‘‘আমরা পারব'', ও বাজে কথা, হে উকারমার্কের মেয়ে' – অর্থাৎ ম্যার্কেল৷
এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ)