জার্মানিতে নাৎসি পদ্ধতির প্রয়োগ
২০ মার্চ ২০১৭আগামী ১৬ই এপ্রিল তুরস্কে গণভোটের আগে এর্দোয়ান ও তাঁর অনুগামীদের চড়া সুর স্তিমিত হবার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ একের পর এক প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে ইউরোপে চরম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করাই যেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য৷ ইউরোপের ভূখণ্ডে তাঁর মন্ত্রীদের নির্বাচনি প্রচারে বাধার প্রেক্ষাপটে এর আগেও তিনি জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের বর্তমান অবস্থাকে নাৎসি জমানার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন৷ রবিবার এক টেলিভিশন ভাষণে এর্দোয়ান বলেন, তুরস্ক ইউরোপীয়দের নাৎসি বললেই তারা অস্বস্তিতে পড়ে৷ তখন তারা একজোট হয়ে পড়ে, বিশেষ করে ম্যার্কেল৷ এরপর সরাসরি ম্যার্কেলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘তুমিও তো এই মুহূর্তে নাৎসি পদ্ধতি প্রয়োগ করছো৷''
উল্লেখ্য, এর্দোয়ানের বর্তমান রোষের পেছনে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরের একটি রাজনৈতিক সমাবেশ৷ তুরস্কের গণভোটে এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে আয়োজিত সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য কুর্দি বিদ্রোহী৷ সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দি সংগঠন পিকেকে-র পতাকাও শোভা পাচ্ছিল৷ জার্মানিতে তুর্কি মন্ত্রীদের অনেক প্রচারসভা বাতিল করলেও বিরোধীদের এমন সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে জার্মানির ‘দ্বিচারিতা' হিসেবে দেখছেন এর্দোয়ান৷
তার উপর জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেছেন, তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে গ্যুলেন আন্দোলনের হাত নেই৷
বলা বাহুল্য, জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে এমন সরাসরি মন্তব্যের ফলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল বলেন, জার্মানি সহনশীল হলেও বোকা নয়৷ তিনি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই মন্তব্য শালিনতার সীমা লঙ্ঘন করেছে৷ এমনকি আসন্ন নির্বাচনে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি দলের মার্টিন শুলৎস-ও এর্দোয়ানের কড়া সমালোচনা করেছেন৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)