ম্যার্কেল ‘‘ফ্ল্যাশ মব’’-এর শিকার হলেন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯‘‘ফ্ল্যাশ মব'' মানে কথা নেই , বার্তা নেই, হঠাৎ কোনো স্থানে জড়ো হওয়া এক উড়ো জনতা৷ তাদের সকলেই কিন্তু জানে কখন, কোনখানে জড়ো হয়ে ঠিক কি করতে হবে৷ এবং রাজনীতিতেও যে প্রতিবাদ কি বিক্ষোভ প্রদর্শনের নতুন অস্ত্রটি কাজে লাগানো যেতে পারে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল গত সপ্তাহে, হামবুর্গে৷
‘‘ইয়্যা-য়্যা-য়্যা''
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এসেছিলেন একটি নির্বাচনী প্রচার সভায়৷ কিন্তু তার আগেই একটি অনলাইন পিকচার-শেয়ারিং ওয়েবসাইটে উড়ো জনতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় হামবুর্গে তাঁকে ‘‘ফ্ল্যাশ মব'' করার৷ সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ওয়েবসাইট এবং টুইটারে খবরটা ঘুরতে শুরু করে৷ আর কিছু নয়: সকলকে ম্যার্কেলের জনসভায় গিয়ে তাঁর প্রতিটি বাক্যের পর ‘‘ইয়্যা-য়্যা-য়্যা'' বলতে হবে৷ সেই সঙ্গে হাতে প্ল্যাকার্ডও থাকবে৷
অস্ত্র, কিন্তু কার হাতে?
বেশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী - যদি এদের ঠিক বিক্ষোভকারীই বলা চলে - এসেছিল ম্যার্কেলের বক্তৃতায় বাধা দিতে৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিক ম্যার্কেল তা'তে আদৌ চঞ্চল না হয়ে তাঁর ভাষণ চালিয়ে গেছেন বটে, কিন্তু পরে তাঁকে ‘‘হেকল'' করার সেই ভিডিও ইউটিউবে দেখেছে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ৷ এবং এটা শুধু আমোদের জন্যই নয়৷ জার্মানির এক ব্লগার দাবি করেছে যে এই ‘‘ফ্ল্যাশ মব''-এর একটি রাজনৈতিক বার্তা ছিল, এবং সেটা হল, তারা আর নির্বাচনী প্রচারাভিযানের এই সব ফাঁকা বুলি মেনে নিতে রাজী নয়৷ অর্থাৎ একটা নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই৷ এখন দেখতে হবে, ভবিষ্যতে সেই অস্ত্র কার হাতে গিয়ে পড়ে৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার