1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জোট সরকারে সংকট

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানির সরকারি জোটের ভবিষ্যৎ আবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানকে ঘিরে শরিকদের মধ্যে সংঘাত দানা বাঁধছে৷ আগামী মঙ্গলবার ফয়সালা হবার কথা৷

https://p.dw.com/p/34qJv
জোট সরকারের শরিকদের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হান্স গেয়র্গ মাসেন-এর ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে সরকারি জোটের মধ্যে আবার চিড় ধরছে৷ কেমনিৎস শহরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে তাঁর মন্তব্য ও আচরণের কারণে তিনি চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন৷ সরকারি জোট ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে তাঁর প্রতি আস্থা কমে চলেছে৷ বৃহস্পতিবার ৩ শরিক দলের প্রধান জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে পারেননি৷

বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার মাসেনকে তাঁর পদে বহাল রাখতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁর দাবি, মাসেন চরম দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়ে এসেছেন৷

অন্যদিকে এসপিডি দল তাঁকে অবিলম্বে পদচ্যুত করতে চায়৷ ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, মাসেন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন৷ এবার তাঁর পরিণতির সময় এসে গেছে৷ যে কোনো নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানকে সম্পূর্ণ আস্থার পাত্র হতে হবে, বলেন শলৎস৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সম্ভবত মাসেনের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন৷ আগামী মঙ্গলবার সরকারি জোটের নেতারা আবার জরুরি বৈঠকে বসবেন৷ সরকার গঠনের ৬ মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভার মধ্যে পারস্পরিক আস্থা কমে যাওয়ার ফলে জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

বৃহস্পতিবার মাসেন নতুন করে আরো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন৷ তাঁর তৈরি বাৎসরিক রিপোর্ট সরকারের হাতে পৌঁছানোর আগেই চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের এক সংসদ সদস্যের কাছে চলে এসেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ মাসেন অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন৷ তবে একের পর এক বিতর্ক ও তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর আচরণের কারণে তিনি সমর্থন হারাচ্ছেন৷

পরিস্থিতি সামলাতে ও সরকারি জোটের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে চাপের মুখে মাসেন নিজে পদত্যাগ করতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত তিনি আত্মসমালোচনা বা পিছু হঠার কোনো লক্ষণ দেখাননি৷ মাসেন বিদায় নিলে সরকারের মধ্যে অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

মাসেন স্বেচ্ছায় বিদায় না নিলে একমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই তাঁকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন৷ এমনকি চ্যান্সেলরও সেই পদক্ষেপ নিতে পারেন না৷ সরকারি জোটে আগেই কোণঠাসা সেহোফারের পক্ষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে৷ বিশেষ করে বাভেরিয়ায় রাজ্য নির্বাচনের ঠিক আগে এমন পদক্ষেপকে তাঁর দুর্বলতা হিসেবে তুলে ধরতে পারে বিরোধীরা৷ অন্যদিকে ম্যার্কেলের সঙ্গে আবার সংঘাত শুরু করলে এবার তিনি নিজেই পদ খোয়াতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে সিএসইউ দল জোট ত্যাগ করবে৷ আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে৷ অথচ জোটের ৩ দলের মধ্যে কেউই এখন নির্বাচন চায় না৷ তিন শরিক দলের এমন উভয় সংকট পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে৷ সবার মুখরক্ষা করে এক সমাধানসূত্রের খোঁজ চলছে৷