ম্যার্কেলের চ্যান্সেলর হওয়া নিয়ে বিভক্ত জার্মানি
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮জার্মানির সরকারি প্রচারমাধ্যম এআরডি বৃহস্পতিবার মাসিক ‘ডয়েচলান্ডট্রেন্ড’ জরিপ প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ জার্মান ম্যার্কেলের চতুর্থবার চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেয়ার পক্ষে৷ অবশ্য মাস ছয়েক আগে এই সংখ্যাটি ছিল ৭০ শতাংশ৷
ডয়েচলান্ডট্রেন্ড-এ দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেয়া ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা ম্যার্কেলকে চতুর্থবার চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান না৷
সরকার গঠন এত দেরি হওয়ায় ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন৷
এসপিডির অবস্থা করুণ
২০১৭ সালের নির্বাচনে এসপিডি মাত্র সাড়ে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা দলের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফল৷ তারপর আবারও সিডিইউর সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এসপিডির প্রতি সমর্থন আরও কমে গেছে বলে জরিপে জানা গেছে৷ যদি এই রবিবারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এসপিডি মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট পাবে৷
‘মহাজোট’ নিয়ে বিভক্ত
ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সঙ্গে আবারও জোট আলোচনা শুরুর বিপক্ষে ছিলেন এসপিডি দলের তরুণ কর্মীরা৷ দল যেন সিডিইউর সঙ্গে না যায়, সেজন্য তাঁরা প্রচারণাও চালিয়েছিলেন৷ তবে এরপরও অল্প ব্যবধানে সিডিইউর সঙ্গে আলোচনা শুরুর অনুমতি পায় এসপিডি৷
ডয়েচলান্ডট্রেন্ড জরিপে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে যাঁরা নিজেদের এসপিডির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন তাঁদের ৫২ শতাংশ মহাজোটে অংশ নেয়ার পক্ষে৷ আর ৪৬ শতাংশ এর বিপক্ষে তাঁদের মত জানিয়েছেন৷
শ্যুলৎসের হার
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের পর এসপিডি নেতা মার্টিন শ্যুলৎস জানিয়েছিলেন, তাঁর দল আর সিডিইউর সঙ্গে জোটে যাবে না৷ বরং সংসদে বিরোধী দলের আসন নেবে এসপিডি৷ শ্যুলৎসের এই ঘোষণায় তাঁর প্রতি সমর্থন বেড়ে গিয়েছিল৷
কিন্তু মুক্ত গণতন্ত্রী ও সবুজ দলের সঙ্গে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের জোট গড়ার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর শ্যুলৎস তাঁর আগের ঘোষণা থেকে সরে আসেন এবং সিডিইউর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান৷ এতে তাঁর প্রতি সমর্থন পাঁচ শতাংশ কমে ২৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷
লুইস স্যান্ডার্স/জেডএইচ