‘ম্যার্কেলের শরণার্থী নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল’
২৪ মে ২০১৯জার্মানির বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘একদিন ইতিহাস সাক্ষী দেবে যে, প্রায় ১০ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেল সঠিক কাজই করেছেন৷’’ ম্যার্কেল যদি শরণার্থীদের আশ্রয় না দিতেন তাহলে এর পরিণতি ভয়াবয় হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান যদি সেই সময় শরণার্থীদের ঢুকতে না দিয়ে সীমান্ত আটতে দিতেন, তাহলে প্রতিবেশী দেশ অষ্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরি তছনছ হয়ে যেতো, কেননা এত শরণার্থীর ভার তারা বহন করতে পারতো না৷’’
২০১৫ সালের শেষ দিকে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ, বিশেষ করে ইরাক এবং সিরিয়া থেকে আগত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল ম্যার্কেল সরকার৷ এ নিয়ে নিজ দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনার মুখেও পড়েন ম্যার্কেল৷ সেই সময় এক ভাষণে তিনি সকলকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, ‘‘আমরা এটি পারব৷’’ তাঁর এ কথাটি পরবর্তীতে সারা দেশে প্রায় প্রবাদ বাক্যে রূপ নেয়৷ তবে বিরোধী শিবির ম্যার্কেলের এ কথাটি থেকেও ফায়দা লুটতে চেয়েছে৷
ধীরে চলা জার্মানি
ইয়ুঙ্কার বলেন, ‘‘ইউরোপে জার্মানির অবস্থান কোনো দ্রুতগামী জাহাজ নয়, বরং ধীরে ধীরে বয়ে যাওয়া সামুদ্রিক ট্যাংকারের মতো৷’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘ইউরোপে বিভক্তি বা একতা কোনোটিই ম্যার্কেল একা তৈরি করেননি, কিংবা কেউ চাইলেই একা এটি করতে পারবে না৷ এর জন্য প্রয়োজন বিশ্বস্ত সহযোগীর আর ম্যার্কেল হলেন তেমনই একজন সহযোগী, যিনি একতাবদ্ধ থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷’’ শরণার্থী সংকটের সফল সমাধানের জন্য ম্যার্কেলের পদক্ষেপগুলোই সঠিক ছিল উল্লেখ করে ইয়ুঙ্কার আরো বলেন, এ সময় রাজনৈতিক সহকর্মীরা ও কিছু বিজ্ঞ লোক তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন৷
নিকোল গোয়েবেল/আরআর