1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের ‘স্থান’ নিতে প্রস্তুত দুই নেতা

১২ এপ্রিল ২০২১

জার্মানির আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউনিয়ন শিবিরের জয় হলে চ্যান্সেলর হতে রাজি দুই নেতা৷ ম্যার্কেলের বিদায়ের পরেও তারা শিবিরের ক্ষমতা ধরে রাখতে চান৷ দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3rrCV
Deutschland K-Frage | CDU -CSU | Soeder oder Laschet
ছবি: Frank Hoermann/SvenSimon/picture alliance

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে৷ সব দলই আনুষ্ঠানিক প্রচারপর্বের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷ দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর আর চ্যান্সেলর প্রার্থী হচ্ছেন না আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অথচ তার শিবির এখনো উত্তরসূরি বাছাইয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি৷ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে কে ভোটারদের সামনে হাজির হবেন, তা এখনো জানা যায়নি৷ এমন চাপের মুখে ইউনিয়ন শিবিরের দুই দলের নেতা অবশেষে জানালেন যে, তারা এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে প্রস্তুত৷

ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সদ্য নির্বাচিত শীর্ষ নেতা ও নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট যে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হতে আগ্রহী, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে উঠছিল৷ কিন্তু বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষ নেতা ও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার এতকাল সে বিষয়ে নীরব ছিলেন৷ রবিবার দুই নেতাই খোলাখুলি ম্যার্কেলের শূন্যস্থান পূরণের আগ্রহ দেখালেন৷ আগামী দশ দিনের মধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে স্যোডার আশা প্রকাশ করেন৷

চলমান করোনা সংকট সামলাতে সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার কারণে ইউনিয়ন শিবিরের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লাশেট লকডাউন যতটা সম্ভব শিথিল রাখার চেষ্টা চালিয়েও জনসমর্থন পাচ্ছেন না৷ অন্যদিকে দল, শিবির ও ভোটারদের কাছে স্যোডারের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে৷ করোনা সংক্রমণ কমাতে তিনি ধারাবাবিকভাবে কড়া নীতির পক্ষে অটল থেকেছেন৷ স্যোডার অবশ্য বলেছেন, যে শেষ পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে যেই শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হোন না কেন, বিভাজন ভুলে সম্মিলিত শক্তি নিয়ে নির্বাচনের আসরে নামতে হবে৷ আগামী নির্বাচনের পরেও চ্যান্সেলর পদ ধরে রাখা শিবিরের প্রধান লক্ষ্য৷

জনমত সমীক্ষায় স্যোডার লাশেটের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন৷ তবে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হতে হলে বাভেরিয়ার আঞ্চলিক দলের নেতা হিসেবে তাকে জার্মানির বাকি রাজ্যের সিডিইউ নেতাদের সমর্থন আদায় করতে হবে৷ অন্যদিকে লাশেট কিছুকাল আগে সিডিইউ দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হলেও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় বেড়ে চলেছে৷

আগামী নির্বাচনের পর জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ বিশেষ করে সবুজ দলের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলায় যে কোনো সরকারেই শরিক হিসেবে এই দলের অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত হয়ে উঠছে৷ সবুজ দলও দ্রুত চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চলেছে৷ সবচেয়ে বেশি আসন পেলে সেই ব্যক্তি জার্মানির প্রথম সবুজ চ্যান্সেলরও হতে পারেন৷ বর্তমান জোট সরকারের শরিক হিসেবে এসপিডি গত বছরই সেই কাজ সেরে ফেলেছে৷ এবার ইউনিয়ন শিবির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে ম্যার্কেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরির তালিকা পূর্ণ হয়ে যাবে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য