1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সাফল্য

২৯ নভেম্বর ২০১৩

বিজ্ঞানীরা ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷

https://p.dw.com/p/1AQEF
ছবি: MMV

ম্যালেরিয়া রোগ হয় প্লাজমোডিয়াম গোত্রের বিভিন্ন প্রজাতির পরজীবীর কারণে৷ পরজীবীগুলো সরাসরি স্তন্যপায়ী প্রাণীকে আক্রমণ করতে পারে না৷ এর জন্য বাহক হিসেবে প্রয়োজন অ্যানোফিলিস গোত্রের স্ত্রী মশা৷ এ অণুজীবগুলো স্ত্রী মশার শুঁড়ের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে৷ বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী প্লাজমোডিয়াম পরজীবী সৃষ্টির কারণ৷

বুধবার জার্নাল নেচারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা আরো জানান, প্লাজমোডিয়াম গোত্রের অনুজীবগুলো খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে এবং মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটায়৷ তাদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল৷ তাই এদের জীবনচক্র ধ্বংস করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷

Gabun Albert-Schweitzer Klinik Ärztin im Labor
ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে সব চক্র ধ্বংস করতে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছেছবি: DW/G. Manco

এতে আরো বলা হয়, অনুজীবদের জীবনচক্রের সবগুলো ধাপ ধ্বংসের জন্য ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা৷ ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো'র নোভার্টিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জিনোমিক্স বিশেষজ্ঞ কেস ম্যাকনামারা বলেছেন, বেশিরভাগ ওষুধ পরজীবির জীবনচক্রের কয়েকটি ধাপে কাজ করে তবে সবগুলো নয়৷ কিন্তু নতুন এনজাইম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে সব চক্র ধ্বংস করতে কার্যকর হবে বলে আশা করছেন তারা৷

বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকার এবং যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম৷

এপিবি/জেডএইচ (এএফপি)