সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
২৬ এপ্রিল ২০১২ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত শেষ হলেও রাসায়নিক প্রতিবেদন পেতে কিছুটা সময় লাগবে৷
একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে আজিমপুর কবরস্থান থেকে প্রথমে সাগর ও পরে রুনির লাশ তোলা হয়৷ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব়্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা, সাগর-রুনির আত্মীয় স্বজন ও বিপুল সংখ্যক সংবাদ কর্মী৷ সেখান থেকে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়৷ মর্গে ময়না তদন্ত শেষে আবার বিকেলে সাগর-রুনির লাশ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়৷
ব়্যাবের পরিচালক কমান্ডার সোহাইল আহমেদ লাশ তোলার পর জানান, আগে লাশ দুইটির ভিসেরা রিপোর্ট করা হয়নি৷ ফলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলছেনা৷ তাদের হত্যাকাণ্ডের সময় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা তাও তারা জানতে পারছেন না৷ ভিসেরা রিপোর্ট না হওয়ায় অন্তত বিশটি প্রশ্নের জবাব মিলছেনা৷ সেই সব প্রশ্নের জবাব পেতেই কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্তের প্রয়োজন পড়ল৷
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে লাশের দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত হয়েছে৷ তিনি বলেন, লাশ দু'টি পলিথিনে মোড়ান থাকায় অবস্থা ভাল ছিল৷ তাই রাসায়নিক পরীক্ষায় ফল পাওয়ার আশা আছে৷
আরেকজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কামরুল ইসলাম জানান, রাসায়নিক প্রতিবেদন পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে৷ তখনই সব কিছু জানা যাবে৷ তিনিও আশাবাদী প্রতিবেদনে কোন ত্রুটি থাকবেনা৷
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতিকে তাদের ঢাকার বাসায় দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করে৷ এখনো হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ গ্রেফতার হয়নি কোন অপরাধী৷ মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৮ই এপ্রিল হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার ব়্যাবকে দেয়৷ সোমবার থেকে তারা আনুষ্ঠানিক তদন্ত কাজ শুরু করে৷ ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ব়্যাবের মূল তদন্ত শুরু হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক