1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যতটুকু করেছি এবং যেটুকু করবো, সবই স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ’

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷ তার মতে, স্মার্ট বাংলাদেশ মানেই সব কিছু অন্যরকম- এমন ধরে নেয়া ঠিক নয়৷

https://p.dw.com/p/4NwQg
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলে: ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যেতে কী পরিবর্তন আনতে হবে?

মোস্তাফা জব্বার: আমি যেভাবে দেখি তা হলো, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আলাদা কিছু নয়৷ এখন যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করছি, তার পরের ধাপটিই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ৷ ২০২১ সাল পর্যন্ত আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একটি কর্মসূচি ছিল৷ সেই কর্মসূচি অতিক্রম করার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷ তার সময়সীমা ২০৪১ সাল পর্যন্ত৷

তাহলে কি দুটি কর্মসূচিই চলমান?

আমরা একটা অনুন্নত বাংলাদেশ, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ- সেই বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য একটি কর্মসূচি নিয়েছি৷ সেটা আমরা করেছি৷ এর মধ্যে আছে সরকারের সব সেবাকে ডিজিটাল করা, সরকারের পদ্ধতিটাকে ডিজিটাল করা৷ আমাদের অন্যান্য আরো যেসব কর্মকাণ্ড আছে সেগুলোকে ডিজিটাল করা৷ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ যদি করি, এর মানে এই নয় যে, আমরা এইসব ডিজিটাইজেশন কর্মকাণ্ডকে বাদ দিয়ে করবো৷ এভাবে চিন্তা করতে পারেন যে, আমরা একটা বহুতল ভবন করছি, বহুতল ভবনটি হলো উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা৷ সেই সোনার বাংলার ভিত্তিটা হলো নিঃসন্দেহে ডিজিটাল বাংলাদেশ৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি৷

‘স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ আলাদা কিছু নয়’

জিজিটাল বাংলাদেশের আরো কাজ বাকি আছে?

আমাদের ডিজিটাইজেশন তো থেমে যাবে না৷ সেটা থেমে গেলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো কীভাবে? যেমন, আমাদের শিক্ষাকে স্মার্ট করতে হলে ডিজিটাল করতে হবে৷ তা না হলে স্মার্ট তো হবে না৷

এরজন্য দেশের মানুষ কতটা প্রস্তুত? মানুষকে কতটা প্রস্তুত করা হচ্ছে?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আমার স্মার্ট মানুষ লাগবে৷ স্মার্ট মানুষ কিন্তু কাপড়েচোপড়ে আর প্রসাধনীতে স্মার্ট হবে না৷ তার দক্ষতাটা স্মার্ট হবে৷ স্মার্ট দক্ষতার ক্যানভাসটা অনেক বড়৷ সেটার জন্য কমপক্ষে ডিজিটাল দক্ষতাটা লাগবে৷ সেটার জন্য প্রতিটি মানুষ যেন একটি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে৷ ডিজিটাল সেবা যেন নিতে পারে৷ ডিজিটাল যোগাযোগ আছে, সেটা যেন ব্যবহার করতে পারে৷ এইগুলো হলো স্মার্ট হওয়ার বৈশিষ্ট্য৷ এটাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো সুযোগ নেই৷

সব মানুষের এই ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় যেতে কতদিন লাগবে?

স্মার্ট বাংলাদেশ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময় বলেই দিয়েছেন৷

আপনি তো বলেছেন সব ধরনের সেবা, বিশেষ করে সরকারি সেবা ডিজিাটালি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে৷ সেটা কি হয়েছে?

সব ধরনের সেবা যদি ডিজিটাল করেই থাকি, তাহলে মানুষের কাছে যেতে হবে বলবো কেন?  আমরা আরো যাবো৷ যতটুকু করেছি, সেটাও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ৷ বাকি যেটুকু করবো সেটাও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হবে৷

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে কি কাজ হচ্ছে?

শুধু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কেন, আমাদের যত প্রযুক্তি এসেছে, তার সঙ্গে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে সম্পর্কিত টেলিকমের ক্ষেত্রে ফাইভ-জি, সিক্স-জি-এর ভিত্তিতে যত প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, আইওটি আরো যা কিছু হবে সব কিছুই স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হবে৷ ২০০৮ সলে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কাজ শুরু হয়, তখন থেকে নতুন প্রজন্মই এগিয়ে আছে৷ ভবিষ্যতে যা কিছু হবে, তার মূল টার্গেট গ্রুপ হবে নতুন প্রজন্ম৷

যারা সার্ভিস দিচ্ছেন, বিশেষ করে সরকারি খাতে এবং যারা সার্ভিস নিচ্ছেন, তাদের মানসিকতা কতটা ডিজিটাল হয়েছে?

বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু সব কিছুতেই এগিয়ে থাকে৷ তারা ভাষা আন্দোলন করেছে , মুক্তিযুদ্ধ করেছে৷ এখন পর্যন্ত যে ডিজিটাইজেশন হয়েছে মানুষ কিন্তু তা গ্রহণ করেছে৷ গ্রামের পুঁথিগত শিক্ষা নেই এমন নারীরাও কিন্তু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন৷ মানুষ কিন্তু অগ্রসর হচ্ছে৷ আর ডিজিটাল কর্মসূচি দিয়েই মানুষের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেয়া হচ্ছে৷