যদি ভালবাসা চাও, ভালবাসো আমার কুকুরকে!
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১‘আমায় নহে গো, ভালবাসো শুধু, ভালবাসো মোর গান' - ব্রিটেনের একটি খবর শুনে নজরুলের এই গানের কথাটিই মনে পড়ে গেল৷ খবরটা এরকম, শতকরা প্রায় আশি ভাগ ব্রিটেনবাসী বলেছে, তারা এমন কারও সঙ্গে ভালবাসায় জড়াবে না যারা তাদের প্রিয় পোষা কুকুরটিকে ভাল না বাসবে!
এদিক দিয়ে অবশ্য সৌভাগ্যবান বলতে হয় বাঙালি তরুণ-তরুণীদের৷ কারণ ব্রিটিশদের মতো তাদের মধ্যে তো আর কুকুর প্রিয়তার বিষয়টি নেই৷
তাই তো আজকের দিনে অনেকেই খুঁজে নিয়েছেন তার ভালবাসার মানুষটিকে৷ আর যাদের আগে থেকেই ‘ভ্যালেন্টাইন' ছিল তারা অনেক পরিকল্পনা করে, আনন্দে কাটিয়েছেন দিনটি৷
সকালের দিকে বেশ ভিড় দেখা গেছে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন এসব এলাকায়৷ আর বিকেলের দিকে একুশের বইমেলায়৷ বেশিরভাগ ভ্যালেন্টাইন জুটিকে দেখা গেছে রং-বেরংয়ের শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে ঘুরে বেড়াতে৷ কারও কারও হাতে ছিল ভালবাসার প্রতীক গোলাপ ফুল৷
ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে ভালবাসা পার্টি'র আয়োজন করা হয়েছে৷ বিত্তবান যারা, তারা সেখানে যাচ্ছেন৷ আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা ঘরে বসে টেলিভিশনে ভালবাসার অনুষ্ঠান দেখছেন৷
তবে তরুণদের ঘটা করে ভালবাসা দিবস পালন বিষয়টি অনেক ধর্মীয় নেতার কাছে পছন্দের নয়৷ যেমন ইন্দোনেশিয়ার ধর্মীয় নেতারা প্রতি বছর ভালবাসা দিবসের আগে ফতোয়া জারি করতেন৷ কিন্তু এ বছর তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে৷
দেশটির উলেমা পরিষদের নেতা ইসওয়ান সাম বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেছেন ভালবাসা দিবস পালন তরুণদের একটা ট্রেন্ড-এ পরিণত হয়েছে, এটা ধর্মীয় নেতারা বোঝেন৷ এটা শুধুই ভালবাসা প্রকাশের একটা উপায়, বলেন সাম৷
তবে তাই বলে পশ্চিমা বিশ্বের মত যৌন স্বাধীনতা ভোগ করাকে তারা সমর্থন করছেন না বলে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন তিনি৷
সাম বলেন কার্ড পাঠানো, পার্টি করা এসব ঠিক আছে৷ কিন্তু অবিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে চুমু বিনিময়, যৌন সম্পর্ক স্থাপন এসব গুনাহ'র কাজ৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী