যমুনা সেতুতে ফাটল ও কর্মসংস্কৃতির উন্নতিতে সরকারের উদ্যোগ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান গর্ব যমুনা সেতু৷ দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী সেতুর ফাটল আরও বেড়েছে৷ মেরামত না করার কারণে গত পাঁচ বছরে ফাটলগুলো দেড় থেকে দুই মিলিমিটার পর্যন্ত চওড়া হয়েছে৷ বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, দিন দিন ফাটলের সংখ্যা ও প্রশস্ততা বাড়ছে এবং সেটা তাঁরা জানেন৷ এই বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগও রয়েছে৷ এ কারণেই দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে৷ তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যেই পুনরায় দরপত্র আহ্বানের কাগজপত্র তৈরি করা হবে৷ এই প্রক্রিয়ায় কোনো সময়ক্ষেপ করা হবে না৷
দৈনিক কালের কণ্ঠ সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্কৃতি ও তার উন্নতির ক্ষেত্রে সরকারের তৎপরতা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তাতে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বা নির্দেশিত কাজের অগ্রগতি জানানোর বিষয়ে আমলারা শৈথিল্য দেখাচ্ছেন৷ এ ক্ষেত্রে তাঁরা ‘প্রক্রিয়াধীন' শব্দটি বেশি ব্যবহার করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আবদুল আজিজ গত সোমবার বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সচিবদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বা নির্দেশিত কাজ সম্পর্কে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন৷ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আবদুল আজিজ গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, অনেকে দায়সারা তথ্য দিয়ে দায় এড়াতে চান, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ কারণ সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন৷ এখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা দেখানো উচিত৷
বাংলাদেশের বন্দরগুলিকে ঘিরে সমস্যা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক সমকাল ও দৈনিক ইত্তেফাকে৷ সমকাল লিখছে, হঠাৎ করে দক্ষতা কমে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তোপের মুখে পড়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা৷ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব দক্ষতা বাড়াতে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন বন্দর কর্তৃপক্ষকে৷ এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি-না তা তত্ত্বাবধান করে নৌ মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত প্রতিবেদনও দিতে বলেছেন মুখ্য সচিব৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সোয়া দুই ঘন্টার বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়৷ এদিকে মংলা সমুদ্রবন্দরের সংকট নিয়ে ইত্তেফাক লিখেছে, নানা কারণে মংলা সমুদ্রবন্দরে বিদ্যমান সুবিধাদি পুরোটা কাজে লাগানো যাচ্ছে না৷ বন্দরের সুবিধা পুরো মাত্রায় ব্যবহার করা হলে বছরে অন্তত ৬৫ লাখ টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা সম্ভব৷ বর্তমানে মংলা বন্দরে বছরে গড়ে ২০ লাখ টন পণ্য ওঠা-নামা হচ্ছে৷ মংলা বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে৷ এর অন্যতম শ্রমিক ও কতিপয় বন্দর ব্যবহারকারীর স্বেচ্ছাচারিতা৷ এর অনুষঙ্গ হিসাবে রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যা৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়