ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "যেসব পণ্যে ট্যাক্স বেড়েছে, সেগুলোর দাম তো বাড়বে। যারা বলছেন, এর প্রভাব বাজারে পড়বে না, তারা ঠিক বলছেন না। সরকার রাজস্ব আহরনের সহজ পথ বেছে নিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি তো আছেই, এর সঙ্গে সরকারের কাছে টাকাও নেই। ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাতে তিন পক্ষই অর্থাৎ সরকার, বিক্রেতা আর ভোক্তা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে যে কম পণ্য কিনবে, এতে আমদানিও কমবে এবং সরকার রাজস্বও কম পাবে।”
আইএমএফের ঋণের শর্ত প্রতিপালনে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সবচেয়ে সহজ পথ শুল্ক ও কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থবছরের মাঝপথে এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরকার আর কী করতে পারতো?
অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "যে পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়, সেটা উদ্ধার করা গেলে তো আয় এর দ্বিগুন হতো। মানুষের উপর বাড়তি চাপও পড়তো না। অথচ সেদিকে সরকারের কোন মনোযোগ নেই।”