1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা অভিবাসন নিয়ে আলাপ-আলোচনায় বসবে

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১ জুন ২০০৯

ওবামা প্রশাসনের প্রস্তাবে সম্মত হল কিউবা৷ ছ’বছর আগে ভঙ্গ হওয়া আলাপ-আলোচনা আবার শুরু হতে চলেছে, যদিও তার দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি৷

https://p.dw.com/p/I1FV
মার্কিন অবরোধ কিউবাকে বহু পিছিয়ে ফেলে রেখেছেছবি: DW/Andreas Boueke

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে প্রস্তাব দেয়, অভিবাসন সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা আবার শুরু করার৷ শনিবার কিউবা একটি ডিপ্লোম্যাটিক নোটের মাধ্যমে তার সম্মতি জ্ঞাপন করেছে৷ সেই সঙ্গে অপর একটি নোটে কিউবা সরাসরি ডাক চলাচলের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মার্কিন প্রস্তাবেও সম্মত হয়েছে৷ এছাড়া কিউবা মাদক প্রতিরোধ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কেও আলাপ-আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন৷

ওএএস

ওদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন রবিবারে একটি তিনদিনব্যাপী দক্ষিণ আমেরিকা সফর শুরু করেছেন, যার মধ্যে আগামী মঙ্গলবার আমেরিকান রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন ওএএস-এর একটি সম্মেলনও পড়বে৷ দক্ষিণ আমেরিকায় ওএএস-এর অধিকাংশ সদস্য কিউবাকে আবার এই সংগঠনে যোগদান করতে দিতে চায়৷ ফিদেল কাস্ত্রোর বিপ্লবের পর কিউবা সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে ঝোঁকার কারণে ১৯৬২ সালে কিউবাকে ওএএস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷

ওবামা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার সম্পর্কে বরফ গলছে কিনা এবং গললেও কতোদূর গলবে, সে বিষয়ে আপাতত ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়৷ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নবসূচনার ইচ্ছা ঘোষণা করা থেকেই প্রক্রিয়ার শুরু৷ দু’মাস আগে ওবামা কিউবান-আমেরিকানদের কিউবায় যাত্রা এবং টাকা পাঠানোর ওপর বাধানিষেধ তুলে নেন৷ তবে কিউবার উপর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশক পুরনো অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল করা, এমনকি তুলে নেওয়ার পথে যাবার আগে ওবামা কিউবার কাছ থেকে গণতান্ত্রিক সংস্কার দাবী করেছেন৷

অভিবাসন

দুই দেশের মধ্যে অভিবাসন সমস্যাটি চমকপ্রদ এবং বহুদিনের৷ কখনো সেটা বাড়ে, কখনো কমে: যেমন ১৯৮০ এবং ১৯৯৪-তে দু’টো বড় ঢেউ এসেছিল৷ কিন্তু কম্যুনিস্ট শাসিত দেশ থেকে পলায়নপর মানুষরা ছোট ছোট বোটে করে হাঙর অধ্যুষিত সমুদ্র পার হয়ে স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে যাবার চেষ্টা করছে; তাদের নিজের সরকার তাদের রুখতে বদ্ধপরিকর, গন্তব্যদেশের সরকারও পারলে তাদের ফেরৎ পাঠায় – এ-ধরণের প্রচারে হাভানা কিংবা ওয়াশিংটন, কারোরই আগ্রহ নেই৷ তাই ১৯৯৫ সালের একটি অভিবাসন চুক্তিতে ঠিক হয়, সমুদ্রে ধরা পড়া শরণার্থীদের কিউবায় ফেরৎ পাঠাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র; অপরদিকে হাভানা এই সব পলায়নের প্রচেষ্টা রোখার চেষ্টা করবে৷

এই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র বৈধ অভিবাসনের পন্থা হিসেবে প্রতিবছর কিউবানদের অন্তত ২০,০০০ ভিসা দেবে৷ কিন্তু পরে গোল বাঁধে এই নিয়ে যে কিউবান তরফ ভিসা পাওয়া সব ব্যক্তিকে দেশ ত্যাগ করতে দিতে রাজী নয়, যে কারণে বুশ প্রশাসন ২০০৪ সালের সূচনা যাবৎ দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷

যুক্তরাষ্ট্রের কিউবান-আমেরিকানরাও ওবামা প্রশাসনের এই নতুন নীতি একনায়কতন্ত্রের কাছে হাঁটু গাড়া, না বুদ্ধিমানের কাজ, সে বিষয়ে একমত নয়৷ এবং সমস্যাবলীও থেকে যাচ্ছে৷ তবে আলাপ-আলোচনা শুরু হচ্ছে, সেটাই বড় কথা৷