যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক স্বস্তি
১৭ অক্টোবর ২০১৩প্রথমে ডেমোক্র্যাটিক সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেট, পরে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ এবং তারপর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিল সইয়ের মাধ্যমে দূর হয় সব দুশ্চিন্তা, যার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে এশিয়ার শেয়ার বাজারে৷
বুধবার রাতে পাস হওয়া সমঝোতা প্রস্তাবের ফলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ঋণসীমা (ডেট সিলিং) বাড়ানো হয়েছে৷
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১৬ দিন ধরে বন্ধ থাকা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে৷ কর্মীদেরও কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
ফলে আপাতত স্বস্তি ফিরে এলেও আগামীতে যে আবারও এরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে না সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ৷ কেননা মাত্র দু'বছর আগেই একইরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল৷ আর নতুন পাস হওয়া প্রস্তাবে ঋণসীমা যেহেতু মাত্র চারমাস বাড়ানো হয়েছে তাই তারপর যে আবারও এমনটা হবে না সে ব্যাপারে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিশ্লেষকরা৷ যেমন ‘সেন্টার ফর অ্যামেরিকান প্রগ্রেস'-এর গবেষক মাইকেল ওয়ের্জ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘গত ২৪ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো রিপাবলিকান কট্টরপন্থিরা আমাদের এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গেলেন৷ দিনদিন এটা একটা মডেলে পরিণত হচ্ছে এবং এর ফলে বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷''
অর্থনীতিবিদদের ধারণা দুই সপ্তাহ ধরে ‘শাটডাউন' এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার৷
প্রতিক্রিয়া
সেনেটে সমঝোতা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘‘সংকট তৈরি করে দেশ পরিচালনার অভ্যাস আমাদের ত্যাগ করতে হবে৷'' রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্যে তিনি এই কথা বলে থাকতে পারেন৷ কেননা ওবামার একান্ত উদ্যোগে ২০১০ সালে পাস হওয়া স্বাস্থ্য খাত সংস্কার ব্যবস্থাকে সমালোচনার মুখে ফেলতেই রিপাবলিকানরা এই জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন বলে অনেকের ধারণা৷
সমঝোতা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার জন বেইনার বলেছেন, ‘‘আমরা একটি ভালো লড়াই চালিয়ে গেছি, তবে জয়লাভ করতে পারিনি৷''