যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের সমর্থনের বিক্ষোভে পুলিশি অভিযান

অ্যামেরিকার ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের পর দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা যাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করছেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। টেন্ট টাঙিয়ে বিক্ষোভস্থলেই অবস্থান করছেন তারা। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই পৌঁছায় পুলিশ। প্রায় ৩০০ আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার ইসরায়েলকে সাহায্য করছে, এরই প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে বসেছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে তারা আন্দোলন করছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই আন্দোলনে ছাত্ররা ছিলেন না। বাইরে থেকে আন্দোলনকারীরা এসে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সে কারণেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বিক্ষোভস্থলে সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না। বাইরে থেকে কিছু মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু সকলেই বাইরে থেকে আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আয়োজনেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসেও ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মঙ্গলবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থিদের সঙ্গে ইসরায়েলপন্থিদের সংঘর্ষ হয়।

রয়টার্সের ছবিতে স্পষ্ট, ফিলিস্তিনপন্থিরা যেখানে টেন্ট টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেখানে লাঠি এবং পোল স্টিক নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরায়েলপন্থিরা।

সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডাকে। ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার পর সংঘর্ষ থামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, যারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল তারা তাদের ছাত্র নয়। যদিও এই বক্তব্যের সত্য়তা জানা যায়নি।

ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে বহু ছাত্র আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে আহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।

গত কয়েকদিনে অ্যামেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ পৌঁছেছে। বেশ কিছু জায়গায় ফিলিস্তিনপন্থিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বহু আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।