চাপের মুখে ম্যার্কেল
১৮ জুলাই ২০১৩সেপ্টেম্বরেই জার্মানির সাধারণ নির্বাচন৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জন্য টানা তৃতীয়বার চ্যান্সেলর হওয়ার সুযোগ৷ নানা সময়ে অনেক চড়াই-উৎরাই লৌহমানবীর দৃঢ়তায় পেরিয়ে এলেও ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-এর শীর্ষ নেত্রী এ মুহূর্তে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায়৷ গত মাসে এডওয়ার্ড স্নোডেন বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা গুগল, ফেসবুক, স্কাইপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরো কিছু কোম্পানির সাইট ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে জেনে নিচ্ছে৷ পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তা স্বীকার করেছে৷
ওবামা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় ‘প্রিজম' নামের একটি কর্মসূচীর মাধ্যমে গোয়েন্দারা অনেক দিন ধরেই এ তৎপরতা চালিয়ে আসছে৷ অথচ যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স-পেটার ফ্রিডরিশ জার্মানির গোয়েন্দা বিষয়ক গোপন সংসদীয় কমিটিকে আবারও বললেন এ সব বিষয়ে জার্মানি আগে কিছু জানতোনা৷ কমিটির সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে যে সব কথা বলেছেন সেগুলো বরং বিরোধীদের দিয়েছে আরো তোপ দাগানোর সুযোগ৷
বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সংসদ সদস্য টোমাস অপারমান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন এসপিডির৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ এদিকে কোলনে দেয়া এক ভাষণে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রকে আমি বলতে চাই, জার্মানির মাটিতে জার্মান আইনই কার্যকর৷ ভবিষ্যতে আমরা এ আইনই প্রয়োগ করবো৷'' না করে উপায়ও নেই৷ এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের করিতকর্মা গোয়েন্দাদের তৎপরতার কথা জার্মানি জানতো না এটা শতকরা আশি ভাগ জার্মানই বিশ্বাস করেননা৷
এসিবি/এসবি (রয়টার্স)