যুক্তরাষ্ট্রের পথে শরণার্থীর ঢল
হেঁটেই হন্ডুরাস থেকে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশী রওয়ানা হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথে৷ রাস্তায় তাদের পেরোতে হবে আরো দুটি দেশ- গুয়াতেমালা এবং মেক্সিকো৷ কয়েক দিনে তিন হাজারের বেশি হন্ডুরান ঢুকেছেন প্রতিবেশী গুয়াতেমালায়৷
সীমান্ত পুনরায় চালু
করোনা মাহামারি আকারে ছড়ানোর পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল গুয়াতেমালার সীমান্ত৷ দুই সপ্তাহ আগে তা আবার খুলে দেয়া হয়৷ এরপর থেকেই সীমান্তে নেমেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল৷
লক্ষ্য অ্যামেরিকা
আপাতত গুয়াতেমালায় ঢুকলেও অভিবাসন প্রত্যাশীদের গন্তব্য আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ গুয়াতেমালা থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার স্বপ্ন তাদের৷ উন্নত জীবনের স্বপ্ন তাদের যাত্রাপথের কষ্টও ভুলিয়ে রাখছে৷ অনেকে পুরো পরিবারসহই শামিল হয়েছেন কষ্টকর এ যাত্রায়৷
নিবন্ধন ফাঁকি
করোনা মহামারির সময়ে সীমান্ত খুলে দিলেও সবাইকে নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে৷ কিন্তু সীমান্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ হন্ডুরানই নিবন্ধন না করেই দেশটিতে প্রবেশ করেছেন৷ তবে হন্ডুরাস সীমান্তে কাউকে আটকানো হয়নি বলেও জানিয়েছে গুয়াতেমালা কর্তৃপক্ষ৷
মেক্সিকো সীমান্তে বাধা
গুয়াতেমালায় প্রবেশের সময় বাধার সম্মুখীন না হলেও মেক্সিকো সীমান্তে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাফেলাকে৷ সীমান্তরক্ষীর পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাসদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে মেক্সিকো সীমান্তে৷ অনেকেই তারপরও অরক্ষিত নানা এলাকা দিয়ে মেক্সিকোতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন৷ অনেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে আবার হন্ডুরাসে ফেরত যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন৷
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা
বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর যাত্রা শুরুর পর হন্ডুরাসের মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কতা জারি করেছে৷ দূতাবাসের টুইটারে বলা হয়েছে, ‘‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অবৈধভাবে মার্কিন সীমান্ত পাড়ি দেয়া বেশি দুঃসাধ্য৷’’ করোনা মহামারির কারণে এই যাত্রা আরো বেশি বিপদের হতে পারে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে৷
মধ্য অ্যামেরিকার শরণার্থী সংকট
মধ্য অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে গত কয়েক বছরে মাঝেমধ্যেই একসঙ্গে বিপুল সংখ্যার শরণার্থীর ঢল নামার কথা শুনতে পাওয়া যায়৷ দুবছর আগে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগে এমনই এক ঢল নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতেও তোলপাড় হয়েছিল৷