1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে আবারো গুলি, সেন্ট লুইসে নিহত তিনজন

২৫ অক্টোবর ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস শহরের সেন্ট্রাল ভিজুয়্যাল এন্ড পারফর্মিং আর্টস হাইস্কুলে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়৷ গোলাগুলিতে সন্দেহভাজনসহ অন্তত তিনজন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4Idf0
ফাইল ছবিছবি: Jeremy Lock/REUTERS

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার একটু পর মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের শহরটির এই হাইস্কুলে ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারী প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়৷

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময় স্কুল ভবনের দরজাগুলো বন্ধ ছিল, সন্দেহভাজন কীভাবে সেখানে প্রবেশ করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার মধ্যেই বন্দুকধারীর অস্ত্র জ্যাম হয়ে যাওয়ায় অনেক জীবন রক্ষা পায়৷ সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল বলেছে, পুলিশ বন্দুকধারীকে ‘দ্রুত থামিয়েছে'৷

সন্দেহভাজনকে ১৯ বছর বয়সি সাবেক শিক্ষার্থী বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ, সে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যায়৷ প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী থাকা স্কুলটিতে সে কেনো হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি৷ স্কুলের ভেতরেই এক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং  হাসপাতালে আরেক নারীর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে৷

আহত সাত জনের মধ্যে তিনজন বালিকা ও চারজন বালক৷ তাদের কারও জখমই প্রাণঘাতী নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম৷

সেন্ট লুইসের পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাক জানিয়েছেন, যখন পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলটিতে পৌঁছান তখন শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে দৌঁড়ে বের হচ্ছিল, পুলিশকে দেখে তারা জানায় হামলাকারীর হাতে ‘লম্বা বন্দুক' আছে৷ তিনি জানান, স্কুলটির সাত নিরাপত্তা কর্মী দ্রুত অন্যদের সতর্ক করে এবং পুলিশে খবর দেয়৷

বন্দুকধারীর কাছে প্রায় ডজনখানেক উচ্চ ক্ষমতার ম্যাগজিন ছিল আর সেগুলোতে কয়েকশ গুলি ছিল জানিয়ে স্যাক বলেন, ‘‘ঘটনা আরও অনেক খারাপ হতে পারতো৷”

স্কুলটির এক শিক্ষার্থী স্থানীয় সংবাদ স্টেশন কেএমওভিকে জানিয়েছেন, হামলাকারী হেঁটে তার এক মেয়ে বন্ধুর কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘তুমি মরতে প্রস্তুত?” রাভেন টেরি নামের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘আমরা অনেক জোরে দৌড় দেই আর আমরা কাঁদছিলাম৷ এ ঘটনায় আমরা সবাই কেঁপে উঠেছি৷”

সেন্ট লুইস পোস্ট-ডিসপ্যাচ সংবাদপত্রকে ১৬ বছর বয়সি শিক্ষার্থী তানিয়া গোলস্টন জানান, বন্দুকধারী তার ক্লাশরুমে প্রবেশ করে তাকে গুলি করার চেষ্টা করেছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দৌড়াতে পারছিলাম না৷ বন্দুকধারীর সঙ্গে আমার চোখাচোখি হয়ে যায় কিন্তু তার বন্দুক জ্যাম হয়ে যাওয়ায় আমি পালিয়ে বাঁচি৷”

‘‘এই অসহ্য স্কুল নিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,” হামলাকারী এমনটি বলছিল বলে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পান তিনি৷ পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী গত বছর এই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে এবং তার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না৷

নিহতদের মধ্যে একজনকে স্কুলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষক জিন কুজকা (৬১) বলে শনাক্ত করেছে তার পরিবার৷ ২০০৮ সালে স্কুলটিতে যোগ দিয়েছিলেন কুজকা ৷

এনএস/কেএম (বিবিসি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)