‘যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটমেন্ট ধোঁয়াশায় ভরা’
১৯ জানুয়ারি ২০২৪তিনি বলেন, ‘‘এতগুলো অবজারভার এসেছে, তারা যেটা দেখেছে, সেটাই বলেছে৷ সবাই বলেছে সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন৷''
ভারতসহ বিদেশিদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারের ভাষ্য কতটা সত্যনিষ্ঠ, সরকার তথ্যের প্রবাহ কতটা নিয়ন্ত্রণ করে, নতুন তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী সেসব বিষয়ে আলোচনা করতে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে৷''
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচনে প্রার্থীরা নির্ধারিত বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি ব্যয় করেছেন বলে উঠে আসা তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘টিআইবিকে এই আলোচনায় কোট করবেন না৷ টিআইবি সোর্স হিসেবে অথেনটিক না৷ এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো ভেরিফাইড না৷''
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে তার ভূমিকা কেমন হতে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই৷ এই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে গুজব, ডিসইনফরমেশন ছড়ানো, এগুলোর উপর নজর থাকবে৷''
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ও ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা প্রতিবেদনকেও খারিজ করে দিয়ে সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পিআর প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে৷ তারা পপুলিস্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে৷''
সকল প্রশংসা যদি প্রধানমন্ত্রীর হয় তাহলে দেশের ব্যাংকিং খাতে লুটপাট, অনিয়মের দায় কেন তার হবে না সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোথায় অনিয়ম হয়েছে? ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গিয়েছে? ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যা শুধু বাংলাদেশে না, পাশের দেশ ভারতেও আছে৷''
সরকারের পক্ষ থেকে অনেক প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলকে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান লাইভ করতে বাধ্য করা হয় বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্য নয়৷ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোই পাগল হয়ে থাকেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান লাইভ দেখানোর জন্য৷''
এসএইচ/এআই