1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের দ্বারা ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ’

২০ আগস্ট ২০১০

জাতিসংঘ জানিয়েছে যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের হাতে নারী ধর্ষণের ঘটনা আর গ্রহণযোগ্য হবে না বরং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে৷ হত্যার মতই ধর্ষণকে দেখা হবে, যে বা যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে৷

https://p.dw.com/p/Os8g

এ পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশেই দেখা গেছে যে, সেনাদের হাতে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে অল্প বয়স্ক মেয়ে থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত৷ যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে সারক্ষণই৷ সেই আতঙ্ককে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ধর্ষণ৷ একটি মেয়েকে যখন ধর্ষণ করা হয় তখন সারাজীবনের জন্য মানসিকভাবে মেয়েটিকে পঙ্গু করে ফেলা হয়৷ একই সঙ্গে সামাজিকভাবেও মেয়েটি সব ধরণের মর্যাদা হারায়৷ কথাগুলো জানান, লেটিশিয়া অ্যান্ডারসন৷ তিনি জাতিসংঘের যুদ্ধ এবং সংঘাতে মেয়েদের ওপর যৌন পীড়ন এবং হামলা প্রতিরোধ দপ্তরে কাজ করছেন৷

Frauen Ost Kongo Afrika Flash-Galerie
ছবি: Ute Schaeffer

আফ্রিকার যে সব দেশ সংঘাতে লিপ্ত জাতিসংঘ তার মধ্যে পাঁচটি দেশের ওপর নজর রাখছে৷ কারণ এই দেশগুলোতেই বিভিন্ন ধরণের সংঘাতের সময় মেয়েদের ওপর চড়াও হয় সেনারা৷ এই দেশগুলো হল লাইবেরিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কংগো, সুদানের দারফুর অঞ্চল, চাড এবং আইভরি কোস্ট৷

লেটিশিয়া অ্যান্ডারসন বলেন, তবে শুধু আফ্রিকার দেশই নয় অন্যান্য দেশের ওপরও নজর রাখছে জাতিসংঘ৷

অ্যান্ডারসন আরো বলেন, যুদ্ধের সময় ধর্ষণ পরবর্তী পর্যায়ের শান্তি প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি ব্যাহত করে, সেটা আমরা দেখেছি৷ নিরাপত্তাও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়৷ যুদ্ধের সময় ধর্ষণ একারণেই আমাদের জন্য বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ৷ এতদিন তা শুধু সমালোচনার মধ্যেই ছিল৷ অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ধর্ষণ নিয়ে কোন কথাও বলা হত না৷

২০০৮ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাবে ‘যুদ্ধের সময় ধর্ষণ' কে একটি অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে৷ একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয় শান্তি প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি অচল করতে সক্ষম এই যৌন পীড়ন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন