1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধ চিরকাল চলতে পারে না: বাইডেন

১ সেপ্টেম্বর ২০২১

আনুষ্ঠানিক ভাবে আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন জো বাইডেন। জানালেন, সব কিছুরই একটা শেষ আছে।

https://p.dw.com/p/3zkii
জো বাইডেন
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance

যুদ্ধ যেমন চিরকাল চলতে পারে না, তেমন যুদ্ধ শেষের প্রক্রিয়াও চিরকাল চলতে পারে না। সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আফগান যুদ্ধের এভাবেই সমাপ্তি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানালেন, যুদ্ধ শেষ হলেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।

যুদ্ধের খরচ

বাইডেন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য প্রতিদিন ৩০০ মিলিয়ন ডলার করে খরচ হয়ে অ্যামেরিকার। ২০ বছর ধরে এই বিপুল খরচ হয়েছে। তার কথায়, ''আট লাখ মার্কিন আফগান যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। প্রায় আড়াই হাজার সেনা মারা গেছেন। যার মধ্যে ১৩ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরের শেষ বিস্ফোরণে। অ্যামেরিকা তাদের ভুলবে না।'' একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বিপুল খরচ করে দীর্ঘদিন ধরে তিন লাখেরও বেশি আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তারা ময়দানে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারল না।

সমালোচনার জবাব

আন্তর্জাতিক বিশ্বে তো বটেই দেশের ভিতরেও বাইডেনের বিরোধীরা তার সমালোচনায় সোচ্চার। যে কায়দায় প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়েছেন, যেভাবে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে এবং যেভাবে উদ্ধারকাজ হয়েছে, তার সবকিছুরই সমালোচনা হচ্ছে। বাইডেনের জবাব, চিরকাল ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ শেষও করা যায় না। এক সময় চরম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। তিনি সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যে ভাবে উদ্ধারকাজ হয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন বাইডেন।

উদ্ধারকাজ

বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা যেভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, তা ঐতিহাসিক। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ দেশে ফিরতে চাওয়া অ্যামেরিকান আছেন। যাদের আনা যায়নি, তাদেরও কিছুদিনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তালেবান কাবুল বিমানবন্দর খুললেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বস্তুত, কাবুল বিমানবন্দর এখন তালেবানের হাতে। তারা আদৌ বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য খুলবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যে অ্যামেরিকানরা এখনো আফগানিস্তানে আটকে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে তালেবান কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, তাও জানা যায়নি। বাইডেন বিরোধীদের অনেকেই উদ্ধারকাজের সমালোচনা করেছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, এর চেয়ে ভালোভাবে উদ্ধারকাজ সম্ভব ছিল না। বহু প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা।

পররাষ্ট্রনীতিতে বদলের ভাবনা

বাইডেন এদিনের বক্তৃতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। এরপর অ্যামেরিকা কোনো দেশে কোনো মিশনে গেলে স্পষ্ট ভাবনা নিয়ে যাবে। অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে, এমন মিশন অ্যামেরিকা নেবে না। বাইডেনের কথায় স্পষ্ট, তিনি আফগানিস্তানে যেভাবে ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা থেকেছে, তার সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্য, আফগানিস্তানে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন সেনা গেছিল। সেই কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় এক দশক মার্কিন সেনা সেখানে থেকে গেছিল। এই বিষয়টিই মেনে নিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট। আগামী দিনে এমন পররাষ্ট্রনীতি অ্যামেরিকা নেবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)