যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুরু করা সমাবেশে মানুষের অংশগ্রহণ আরো বাড়ছে৷ তিনদিন পার করে শুক্রবার চতুর্থ দিনে সেখানে হওয়ার কথা মহাসমাবেশ৷ ধারণা করা হচ্ছে অন্তত দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে৷ আগের তিন দিনের মতো শুক্রবারও সেখানে হাজির হবেন সর্বস্তরের মানুষ৷ সবাই আসবেন একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধীতা করে হত্যা, ধর্ষণের মতো অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগে যাবজ্জীবনের রায় পাওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইবুনালের কাছ থেকে ফাঁসির আদেশ আদায় করতে৷
বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হেড অফ নিউজ মাহমুদ মেনন ডয়চে ভেলেকে জানান, বৃহস্পতিবার সেরকমই আভাস পাওয়া গেছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া শাহবাগের এ সমাবেশ প্রতিদিনই পাশের কাঁটাবনের রাস্তা, টিএসসি, হোটেল শেরাটন ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷ জাতীয় পতাকা, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে লেখা ব্যানার সঙ্গে আনছেন অনেকে৷ সাংস্কৃতিক কর্মীরা গান গাইছেন৷ অভিনীত হচ্ছে নাটক৷ বানানো হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ৷ আরো রয়েছে কাদের মোল্লার কুশপুত্তলিকা৷ সমাবেশে হাজির সবারই এক কথা – কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন তাঁরা মানেন না, যুদ্ধাপরাধের দায়ে তাকে ফাঁসি দিতেই হবে৷
সমাবেশের সবচেয়ে বড় অভিনবত্ব হলো সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ৷ প্রধান বিরোধী দল এবং তাদের সমমনা দলগুলো ছাড়া বাকিদের ছাত্র ও অঙ্গ সংগঠনগুলোও সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন মাহমুদ মেনন৷ সেখানে কারো মুখেই শোনা যাচ্ছে না দলীয় স্লোগান৷ মেননের মতে, সে সুযোগও কেউ পাননি৷ চেষ্টা করতে গেলেই বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের৷
এ প্রসঙ্গে উঠেছিল বৃহস্পতিবার সরকারের দুই মন্ত্রীর সমাবেশে এসে বাঁধার মুখে কোনো কথা না বলেই বাধ্য হয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়৷ জানতে চাওয়া হয়েছিল, যদি দলীয় বক্তব্য কেউ না রাখেন, কাদের মোল্লা বা অন্য কোনো যুদ্ধাপরাধীর কঠোর শাস্তির বিরুদ্ধে যদি তাঁদের অবস্থান না হয়, তাহলে কেন এভাবে বাঁধা দেয়া? মাহমুদ মেনন এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলতে পারেননি৷ প্রাসঙ্গিক এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হেড অফ নিউজ ডয়চে ভেলেকে জানান, প্রধান বিরোধী দলের কোনো নেতা এখনো শাহবাগের সমাবেশের সঙ্গে, সেখানে সমবেত জনতার দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে আসেননি৷
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ