1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ইউরোপের অভিজ্ঞতা

১৫ জুলাই ২০০৯

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে একাধিকবার যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে৷ বাংলাদেশে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ চলছে৷ ইউরোপের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কতটা কাজে লাগতে পারে?

https://p.dw.com/p/IqIO
১৯৪৫ সালে ন্যুরেমবার্গ শহরে নাৎসি আমলের যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছিলছবি: AP

বাংলাদেশের উদ্যোগ

বাংলাদেশে সম্প্রতি ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট সংশোধন করে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) আইন- ২০০৯’ অনুমোদিত হয়েছে৷ শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মানি সহ ইউরোপের অনেক দেশে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷

ইউরোপে যুদ্ধাপরাধের বিচার

নাৎসি আমলের ইহুদি নিধন যজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ৷ হিটলারের বাহিনী দখলদারি শক্তি হিসেবে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, গোটা বিশ্ব সেই যুদ্ধাপরাধের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছে৷ মিত্রশক্তির উদ্যোগে ন্যুরেমবার্গ শহরে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া মানবজাতির ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক৷ সম্প্রতি সাবেক ইয়ুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি৷

বলাই বাহুল্য, যুদ্ধাপরাধের মত একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অগ্রসর হওয়া কোনো সমাজের পক্ষেই সহজ নয় — বিশেষ করে সেই অপরাধ যদি নিজের দেশেই ঘটে থাকে এবং নিজেদের দেশের কিছু মানুষই যদি তাতে জড়িত থাকে৷ একটা গোটা প্রজন্ম হয় অপরাধী, কিংবা অপরাধের শিকার হয়ে ওঠে৷ সমাজের একটা বড় অংশ নানা কারণে নীরব থেকে সেই অপরাধের পরোক্ষ অংশীদার হয়ে ওঠে৷ পরবর্তী প্রজন্মের অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের জবাব দিতে হয় তাদের৷ রাজনৈতিক পালাবদলের পর অপরাধী বা তাদের মদতদাতাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাকেন্দ্র বা প্রশাসনে থেকে যায়৷

Kriegsverbrecher-Prozess gegen Milosevic
সার্বিয়ার জাঁদরেল নেতা স্লবোদান মিলোসেভিচকেও যুদ্ধাপরাধ আদালতে হাজির হতে হয়েছিলছবি: dpa

জার্মানিতে ইহুদি নিধন যজ্ঞের মত অতুলনীয় নিষ্ঠুরতার ঘটনা ঘটেছিল৷ ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে বাক্সবন্দি করে না রেখে যুদ্ধের পর কিছুটা বাধ্য হয়ে এবং কিছুটা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সেই অধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছে জার্মান জাতি৷ আজও সরকার, প্রশাসন, সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা — প্রায় সব ক্ষেত্রে সেই ভয়াবহ স্মৃতিকে জাগ্রত রাখার নানারকম উদ্যোগ চালু রয়েছে৷ ইতিহাসকে অস্বীকার না করে অপ্রিয় অতীতের মোকাবিলা করেই অগ্রসর হওয়া সম্ভব — সমাজের একটা বড় অংশের মধ্যে এই ঐক্যমত আজ জার্মানিকে ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার শক্তি যোগাচ্ছে৷ জার্মানির ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বের অন্য কোনো ঘটনার তুলনা করা না গেলেও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে কোনো জাতি দুর্বল হয়ে পড়েছে, এমন দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না৷

আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইউরোপ ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন ব্রাসেলসে কর্মরত আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিন৷

প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য