1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধের বিচার, বিদুৎ সংকট আর ক্রসফায়ার নিয়ে সরব বাংলাদেশের মিডিয়া

২৯ মার্চ ২০১০

যুদ্ধাপরাধের বিচারে খানিকটা এগিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ অন্তত দৈনিক পত্রিকার শিরোনামগুলো দেখলে তেমনটাই মনে হবে৷ এছাড়া, বিদ্যুৎ সংকট রোধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথাও শোনা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/MgTI
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চায় বাংলাদেশ সরকার (ফাইল ফটো)

মূল আলোচনায় যু্দ্ধাপরাধ

সোমবারও বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোতে মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দিকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে৷ এই বিচারে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ১৯৭৩' কীভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে রবিবার ঢাকায় বৈঠক করেছেন বিচার সংশ্লিষ্টরা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ৷ দৈনিক প্রথমআলো এবং বিডিনিউজসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও বার্তামাধ্যম বিষয়টি বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে৷

তবে দৈনিক ইত্তেফাক একই বিষয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে একটি প্রতিবেদন করেছে, যার শিরোনাম, ‘‘নাশকতার আশঙ্কা, পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ''৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নাশকতার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা৷ আর তাই, নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ এই খবরটিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে লাল কালির শিরোনামে জানিয়েছে ইত্তেফাক৷

বিদ্যুৎ সংকট

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে আলোচনা আছেই৷ বিশেষত লোডশেডিং নিয়ে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তা জানাচ্ছে প্রায় সব পত্রিকাই৷ তবে এই সংকট নিরসনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে উদ্যোগী হয়েছে বর্তমান সরকার, এজন্য সাহায্য নেয়া হবে রাশিয়া-র৷ দৈনিক প্রথম আলো একথা জানিয়ে বলেছে, এই বছরই রাশিয়া সফরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এবং তখন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হতে পারে৷

ক্রসফায়ার

বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থা ব়্যাব- এর মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার রবিবার জানিয়েছেন, গত ছয় বছরে ৬১১ জন ক্রসফায়ারে মারা গেছে, তবে এর কোনটিই আইনবহির্ভূত ছিল না৷ এই খবরটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকা৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুন শঙ্কর চৌধুরী