যুদ্ধাপরাধের বিচার: বিদেশী বিচারক নয় পর্যবেক্ষক নিয়োগের সুযোগ আছে
১০ এপ্রিল ২০০৯কাম্বোডিয়ায় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে৷ আর এই ট্রাইবুন্যালে কাম্বোডিয়ান বিচারক যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বিদেশী বিচারক ৷ কিন্তু বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইবুন্যাল কেমন হবে, আইনে কি আছে তার ব্যাখ্যা দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান৷ তাঁর মতে '৭৩ এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে বিদেশী বিচারক নিয়েগের কোন সুযোগ নেই৷ এই আইনটি প্রণয়নের সময় ন্যুরেমবার্গ ট্রায়েলের দুজন বিচারক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন বলে তিনি জানান৷
যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে হবে স্বচ্ছ এবং দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, স্বচ্ছ বিচার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে আরো বাড়িয়ে দেবে৷ বিচারের সময় বিদেশী পর্যবেক্ষক রাখা জরুরি৷
তবে '৭৩ এর আইন মেনেই কয়েকটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযেগিতা নেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ যা স্বচ্ছতা ছাড়াও যুদ্ধাপরাধ প্রমাণে সহায়তা করবে৷ ড. মিজান বলেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং তদন্তের ক্ষেত্রে সহায়তা নেয়া যেতে পারে৷
আর ড. ইমতিয়াজ মনে করেন, সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিলে নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসবে৷ এমন কি পাকিস্তানের নাগরিকরাও সাক্ষি দিতে এগিয়ে আসতে পারে৷
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই ৪ জন বিশেষজ্ঞের নাম ঘোষণা করেছে৷ তারা হলেন, লুইস বিকফোর্ড, প্রিসিলা হেইনার, বগডান ইভানিসেচিভ এবং আলেকজান্ডার মায়ের রিক৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের প্রকাশ্য এই বিচার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক