যে কারণে ইউরোপে ফেসবুকের ১০ হাজার নতুন নিয়োগ
১৮ অক্টোবর ২০২১রোববার একটি বিবৃতিতে ফেসবুক জানায় যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম বাড়াতে নতুন করে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে তারা। এতে করে তাদের 'মেটা ভার্স' প্রযুক্তির কাজ আরো দ্রুত চালু হবে বলে জানায় তারা।
মেটা ভার্স আসলে কী, তা বোঝাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায় যে এটি আসলে বাস্তব ও কৃত্রিম দুনিয়ার এক মিশ্র প্রযুক্তি।
নতুন প্রযুক্তি বাজারে ছাড়তে উদ্যমী হলেও ফেসবুকের কাজের ধরনের ওপর প্রশ্ন তুলেছেন খোদ এই সংস্থার কর্মীরাই। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকের কর্মীরা জানিয়েছেন কীভাবে এই সংস্থাটি তার বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে সমাজ ও ব্যক্তিদের তথ্যভিত্তিক ক্ষতি করে।
'ইউরোপিয়ান প্রযুক্তি বাজারে উচ্ছ্বাস'
রোববার ফেসবুক তাদের মেটা ভার্সের ঘোষণা করার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতির প্রশংসা করে। বিবৃতিতে তারা জানায় যে, যেভাবে ইইউ বাকস্বাধীনতার পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে ভাবে, ফেসবুকও একই আদর্শে বিশ্বাসী।
শুধু তাই নয়, ফেসবুক জানায় যে মেটা ভার্সের আগমন ইউরোপের প্রযুক্তি বাজারের জন্য 'উচ্ছ্বাসের খবর'।
বিবৃতিতে বলা হয়, "শুধু নতুন প্রযুক্তিকে বাহবা দেওয়াই নয়, ইইউইন্টারনেট ব্যবহারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দৈনন্দিন ইউরোপিয়ান জীবনে কীভাবে এই আদর্শগুলি প্রতিফলিত হবে, তা ঠিক করে দেয় ইইউ এর নীতিমালা।"
এর আগে, ফেসবুকের তথ্যের ব্যবহারের নৈতিকতা নিয়ে ইইউ প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সময়, ফেসবুক জানায় যে এবিষয়ে কড়াকড়ি বাড়ানো হলে সংস্থাটি তাদের ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবে, যা ইউরোপে চাকরির অভাব সৃষ্টি করতে পারে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
শুরুর দিকে পথ অমসৃণ হলেও, ফেসবুক নিশ্চিত যে এই নতুন মেটা ভার্স প্রযুক্তি অভিনব অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেবে। তারা বলে, "ভার্চুয়াল বাস্তবের অনুভবকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে পারলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষের আরো কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে। কিন্তু মেটা ভার্সের পরিচালন ও মালিকানা কোনো একটি গোষ্ঠীর হাতে থাকবে না।"
জুলাই মাসে মার্ক জুকারবার্গ জানান যে একটি নির্দিষ্ট পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেসবুক 'সোশাল মিডিয়া সংস্থা থেকে মেটাভার্স সংস্থায়' পরিণত হবে। এই ব্লগ বিবৃতিতে ফেসবুক বলে, "ইউরোপে ফেসবুক যত তার কাজের বিস্তার ঘটাচ্ছে, তত এখানকার প্রতিভার পেছনে আমরা বিনিয়োগ করব। ইউরোপ ও বিশ্বকে একসাথে নিয়ে নতুন উদ্ভাবনের দিকে এগোব।"
এসএস/কেএম (এপি, এএফপি)