যে ১০ কারণে বাল্টিক যাওয়া উচিত
গরমে সূর্য, বালি আর জলের আবাহন পেতে বাল্টিক সাগরের জুড়ি নেই৷ কেবল জার্মানিতেই দুই হাজার ২০০ কিলোমিটারের উপকূল রয়েছে এই সাগরের৷ ছবিঘরে জেনে নিন, কেন যাওয়া দরকার জার্মানির অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রে৷
সৈকত আর সাগরের মজা
ছুটিতে যারা বাল্টিক সাগরে বেড়াতে যান, তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে সৈকতে শুয়ে থাকা এবং সাগরে সাঁতার কাটা৷ সূর্যালোকে সেই দৃশ্য খুবই নয়নাভিরাম৷ ভূমধ্য সাগরের মতো না হলেও এখানকার সবচেয়ে এলাকা উজেডোম দ্বীপ৷ বছরের দুই হাজার ঘন্টা রৌদ্রোজ্জল থাকে ওই এলাকা৷
সৈকতের আরাম কেদারা
বাল্টিক সাগরের পর্যটকরা সৈকতের চেয়ারগুলোকে বেশ পছন্দ করেন৷ সূর্যালোকের পাশাপাশি বাতাস ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে এসব চেয়ার৷ ১৮৮২ সালে প্রথম এ ধরনের চেয়ার তৈরি করা হয়৷ কালক্রমে বাল্টিক সাগর এলাকায় অপরিহার্য অনুষঙ্গ এসব চেয়ার৷
জেটি ধরে হাঁটা
সৈকত চেয়ারের মতো এসব জেটিও বাল্টিক সাগরের অপরিহার্য অঙ্গ৷ কিছু জেটিতে ফেরি ভিড়লেও অনেকগুলোতে আছে রেস্তোরাঁ এবং দোকান৷ সব জেটি থেকেই সমুদ্রের চমৎকার সৌন্দর্য চোখে পড়ে৷ ছবির এই হেরিংসডর্ফ জেটি চলে গেছে সমুদ্রের পাঁচশ’ মিটার পর্যন্ত৷
নগ্ন সূর্যস্নান
শর্টস কিংবা বিকিনি খুলে সূর্যস্নানে মত্ত হওয়া কোনো ঘটনা নয় বাল্টিক সাগর এলাকার জন্য৷ কারণ, এর চেয়ে নগ্ন সৈকতও আছে জার্মানিতে৷ অনেক পর্যটকের কাছে এটা স্বাধীনতার প্রকাশ এবং অক্ষত প্রকৃতিতে অবগাহনের মতো৷ পূর্ব জার্মানি থাকার সময় থেকে এটা বাল্টিক সাগরের সাধারণ প্রবণতা৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ক্যামেরায় ধারণ
এমন সব প্রাকৃতির সৌন্দর্যের উপকরণ আছে বাল্টিক সাগরে৷ ব়্যুগেন এলাকার উঁচু খাড়া পাহাড়টির উচ্চতা ১২০ মিটার, যার শুরুটা হয়েছে পানি থেকে৷ ৭০ মিলিয়ন বছর আগে তৈরি এই এলাকায় পুরাতন ফসিলও পাওয়া যায়৷
জাহাজ জাদুঘর
সমুদ্র থাকলে নৌকা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু বাল্টিক এলাকায় জাহাজগুলো অন্যরকম৷ কিলার ভোখে এবং হানসে জাইল রস্টক এলাকার জাহাজগুলো বেশি দৃষ্টিনন্দন৷ ঐতিহ্যবাহী দাড় টানা নৌকার পাশাপাশি জাদুঘরের জাহাজ পানিতে ওই এলাকার গর্বের প্রকাশ ঘটায়৷
বিশ্ব ঐতিহ্যে ঘোরাঘুরি
বাল্টিক উপকূলে অনেক সাংস্কৃতিক নির্দশন রয়েছে৷ ইউনেস্কো দ্বারাও স্বীকৃতি পেয়েছে তা৷ ওই এলাকার তিন বন্দরনগরী ল্যুবেক (ছবিতে), ভিসমার ও স্ট্রালজুন্ড স্থান পেয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়৷ এসব এলাকায় ঐতিহাসিক নগর ভবনগুলোকে সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ এসব ভবনগুলো দেখলে বুঝা যাবে, বাণিজ্যের কারণে ৮০০ বছর আগেও কতোটা উন্নত ছিল ওই এলাকা৷
ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য নগরী ভ্রমণ
ল্যুবেক, ভিসমার ও স্ট্রালজুন্ড শহর কেবল বিশ্ব ঐতিহ্য নয়, ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক মোর্চা হানসিয়াটিক লিগেরও অংশ৷ বাল্টিক ও উত্তর সাগরের বাণিজ্য রুটকে এ নামে ডাকা হতো৷ দৃষ্টিনন্দন ধর্মীয় স্থাপনা, গোথিক এবং মধ্যযু্গীয় ভবনগুলো এখনো শহরগুলোর ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে আছে৷
মাছে রসনাবিলাস
বাল্টিক উপকূলে ভ্রমণ করলে প্রতিনিয়ত সামুদ্রিক তাজা মাছের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন আপনি৷ বেশিরভাগ সাগর থেকে মাছ তুলে সরাসরি রেস্তোরাঁয় আসে৷ এর মধ্যে কেবল তৈরি হয়ে পাতে তোলার অপেক্ষা করতে হয়৷
বাদামি পাথরের খোঁজে
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে আপনি সৈকতে বাদামি পাথরের দেখা পেয়ে যেতে পারেন৷ প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্ব থেকে মানুষ ফসিলথেকে আসা পাথর দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করত৷ এমনকি বর্তমান সময়ে এসেও বাদামি পাথর দিয়ে এই নৌকার মতো গলার হার, ব্রেসলেট এবং শিল্পকর্ম তৈরি হয়ে থাকে৷