যে ১০টি কারণে আপনারও ইটালিতে যাওয়া উচিত
ইউরোপীয় অতীত; স্থাপত্য ও চিত্রকলা; ভেনিস, ফ্লোরেন্স, রোমের মতো শহর, অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, সমুদ্রসৈকত – কি নেই এই আশ্চর্য দেশটিতে!
ডলোমাইট্স, ইটালির আল্প্স
দক্ষিণ-পূর্ব ইটালির এই চুনাপাথর পর্বতমালা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যে কোনো পর্যটককে মুগ্ধ করার ক্ষমতা রাখে৷ গোটা এলাকাটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট৷ এখানে গ্রীষ্মে হাইকিং, সাইক্লিং অথবা বেস জাম্পিং, শীতকালে স্কি করা যায়৷
পাহাড়ের কোলে হ্রদ...
...আর হ্রদের গা ঘেঁষে বাগান ঘেরা প্রাসাদ৷ ইংরেজ রোম্যান্টিক কবি শেলি কোমো হ্রদের ধারে এমনই একটি ‘ভিলা’ কিনেছিলেন৷ উত্তর ইটালির এই সব হ্রদ আর লাগোয়া জনপদে টুরিস্টদের না থেমে উপায় নেই৷
শপিং করতে হলে যেতে হবে মিলান
ইটালীয় ফ্যাশন দেখতে চান তো মিলানের দ্বিতীয় ভিত্তোরিও এমানুয়েল মল-এ চলে আসুন৷ এই শপিং মলটি খোলা হয় ১৮৭৭ সালে! ভ্যালেন্তিনো, ভেরসাচে, প্রাদা ও আরমানি-র মতো বড় বড় লেবেলের হেডকোয়ার্টার্স এই মিলান শহরে৷
পৃথিবীর আশ্চর্যতম শহর ভেনিস
রাস্তার বদলে খাল, দু’ধারে গথিক প্রাসাদ, খালের জলে ভাসছে গন্ডোলা – আর কার্নিভালের মরশুম হলে প্রাচীন সব সাজগোজ আর ভেনিসের সুবিখ্যাত মুখোশের ভিড়৷ সারা দুনিয়ার মানুষ ভেনিসে আসার স্বপ্ন দেখে৷ প্রতিবছর সে স্বপ্ন সফল করেন লক্ষ লক্ষ পর্যটক৷
মিকেলাঞ্জেলোর শহর ফ্লোরেন্স
পিয়াৎসালে মিকোলাঞ্জেলো চত্বর থেকে আর্নো নদীর ধারে অবস্থিত গোটা শহরটিকে দেখা যায়৷ রেনেসাঁসের জন্মই যে শহরে, তার মধ্যমণি হলো ব্রুনেলেস্কির গম্বুজ দেওয়া ডুওমো গির্জা৷ এই শহরেই রয়েছে মিকেলাঞ্জেলোর ১৭ ফুট উঁচু শ্বেতপাথরের ডেভিড মূর্তি৷
টাস্কানির আঙুরখেত
মধ্য ইটালির এই অঞ্চলে ‘কিয়ান্তি’-র মতো নানা নামকরা ওয়াইন তৈরি হয়৷ তবে এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য টাস্কানির নিজস্ব, সেই সঙ্গে রয়েছে সিয়েনা বা পিসার মতো বিশ্ববিখ্যাত শহরের টান৷ পিসার হেলানো টাওয়ারের কথা মনে আছে তো?
‘সব পথ যেখানে গিয়ে শেষ হয়’
রোম আজও ইটালির রাজধানী৷ অপরদিকে পোপের বাসও এখানে, ভ্যাটিকানে (ছবিতে সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রাল)৷ পর্যটকরা রোমে আসেন দু’ হাজার বছর আগের রোমক সভ্যতার নিদর্শন দেখতে: কলোসিয়াম, প্যান্থিওন, রোমান ফোরাম৷
পিৎসা মার্গেরিটার জন্ম যেখানে
নেপলসের পিৎসা নির্মাতা রাফায়েলো এস্পোসিতো ১৮৮৯ সালের ১১ই জুন তারিখে এই পিৎসার রেসিপিটি সৃষ্টি করেন ইটালির রানি, মার্ঘেরিতা অফ স্যাভয়-এর সম্মানে৷ আজ সেই পিৎসা দুনিয়ার সর্বত্র এবং বিশেষ করে কচিকাঁচাদের ফেবারিট৷
আমাল্ফি উপকূল
সাগরের ধার ঘেঁষে পাহাড়, মাঝেমধ্যে নেমে এসেছে একটি ঝর্না৷ কোন সুদূর অতীতে সেই পাহাড়ের গা আঁকড়ে গড়ে উঠেছে একটির পর একটি জেলেদের গ্রাম৷ আজ দেখলে মনে হবে যেন কোনো চিত্রকর সোজা পাহাড়ের গায়ে ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলেন৷
সিসিলি বলতে শুধু মাফিয়া বোঝায় না
না বেশি ঠান্ডা, না বেশি গরম, সিসিলি সারা বছর ধরে পর্যটকদের টানে৷ পালের্মো, তাওরমিনা বা সিরাকিউজের মতো শহরে যদি মন না মানে, তাহলে আছে মাউন্ট এটনা, ইউরোপের ‘জাগ্রত’ আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে অন্যতম!