যেসব দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, সারা বিশ্বে গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করে৷ ছবিঘরে থাকছে শীর্ষ পাঁচটি দেশের কথা যেখানে আত্মহত্যার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি৷
গায়ানা
ক্যারিবীয় দেশ গায়ানায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১২ সালে সেখানকার প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৪৪.২ জন আত্মহত্যা করেছে৷ প্রচণ্ড দারিদ্র্য, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এর কারণ বলে জানা গেছে৷ তরল বিষ পান করেই গায়ানার মানুষ বেশি আত্মহত্যা করেছে৷
উত্তর কোরিয়া
তালিকায় গায়ানার পরেই উত্তর কোরিয়ার অবস্থান৷ প্রতি বছর গড়ে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে৷ মানবাধিকার লঙ্ঘন, আর্থিক দৈন্যতা, সরকারি নির্যাতনের ভয় থেকে সৃষ্ট চাপ – এসব কারণে সেদেশের মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়৷
দক্ষিণ কোরিয়া
চাকরির চাহিদা পূরণের চাপ এবং পড়ালেখা ও সামাজিক চাপের কারণে দক্ষিণ কোরীয়রা আত্মহত্যা করে থাকে৷ বিশেষ করে নভেম্বরে কলেজ ভর্তি পরীক্ষার আগে আত্মহত্যার হার যায় বেড়ে৷ বিষয়টি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সরকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর উপর নজরদারি করে সম্ভাব্য আত্মহত্যা ঠেকানোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে৷ জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে সেদেশে এক লক্ষ জনের মধ্যে ২৮.৯ জন আত্মহত্যা করেছে৷
শ্রীলঙ্কা
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে৷ ২০১২ সালে সে দেশে প্রতি এক লক্ষের মধ্যে ২৮.৮ জন আত্মহত্যা করে৷ দারিদ্র্য ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা এর কারণ বলে জানা গেছে৷
লিথুয়েনিয়া
ইউরোপের মধ্যে এই দেশটিতেই আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১২ সালে লিথুয়েনিয়ার এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৮.২ জন আত্মহত্যা করেছে৷ সামাজিক ও আর্থিক সমস্যাই সেখানকার মানুষের আত্মহত্যার মূল কারণ৷ গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দেশটিতে আত্মহত্যার হার আরও বেশি ছিল৷
বাংলাদেশের অবস্থান?
জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে গড়ে ৭.৮ জন আত্মহত্যা করেছে৷ এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬.৮, আর নারীর সংখ্যা ৮.৭৷ অর্থাৎ নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যায় আত্মহত্যা করেছে৷ যদিও জাতিসংঘের হিসেবে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী পুরুষদের আত্মহত্যার সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি ছিল৷