জিকা ছড়ানোর খবরের তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাভিত্তিক রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নিবারণ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, তারা ১৪টি জিকা সংক্রমণের ঘটনা তদন্ত করছেন যা যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তদন্তে প্রমাণ হলে এইডসের মতো জিকাও যৌনবাহিত রোগ হিসেবে বিবেচিত হবে৷
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৮২ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷ আক্রান্তরা সবাই জিকা মারাত্মক আকারে ছড়িয়েছে এমন অঞ্চলে গিয়েছিলেন৷ সিডিসি পরামর্শ দিয়েছে, যারা জিকা আক্রান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন, তারা যেন সঙ্গমের সময় কনডম ব্যবহার করেন৷ বিশেষ করে সঙ্গিনী যদি গর্ভবতী হন, কেননা জিকা অনাগত সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা দেয় এবং আক্রান্ত শিশুর মাথা অস্বাভাবিক রকম ছোট হয়৷ মার্কিন সংস্থাটি গর্ভবতী নারীদের ত্রিশটির বেশি জায়গায় না যেতে পরামর্শ দিয়েছে৷
এদিকে, জিকার সংক্রমণ, যা মশার মাধ্যমেও ছড়ায়, কমিয়ে আনতে ব্রাজিলের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)৷ দেশটি চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন করছে৷ প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফের সঙ্গে আলোচনার পর ডাব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক মার্গারেটা চান বলেছেন, ‘‘আমি আপনারদের পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই যে, (ব্রাজিলের) সরকার অলিম্পিক কমিটি এবং ডাব্লিউএইচও'র সহায়তায় মশা নিয়ন্ত্রণে ভালো উদ্যোগ নিয়েছে৷ পাশাপাশি যেসব দর্শণার্থী বা ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক উপলক্ষ্যে সেদেশে যাবেন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে৷''
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের শুরু থেকে এখন অবধি ব্রাজিলে পনের লাখের মতো মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে৷ তবে মারা গেছে মাত্র তিনজন৷ বর্তমানে জিকা ভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন নেই৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে আরো ১৮ মাসের মতো সময় লাগবে৷
এআই/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)