1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন হয়রানি মামলায় বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার ‘মোদীঘনিষ্ট’ এমপি

৩১ মে ২০২৪

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দলের এক আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। কর্ণাটকের জনতা দল (সেক্যুলার) (জেডিএস) প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে।

https://p.dw.com/p/4gUw1
পার্লামেন্ট ভবনের সামনে দাঁড়ানো প্রজ্বল
প্রজ্বল সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন এক মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নেছবি: Sonu Mehta/Hindustan Times/IMAGO

ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিকে উদ্ধৃত করে এ সংবাদ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কর্ণাটকের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের ৩৩ বছর বয়সি প্রজ্বলের বিরুদ্ধে এপ্রিলে অভিযোগ দায়েরের পর ভারতের বাইরে চলে যান। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি জার্মানিতে ছিলেন। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে তিনি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসেন। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ২৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশকিছু ভিডিও ক্লিপ প্রচারিত হয়। এরপর প্রজ্বলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছিল।

দ্বিতীয় দফায় লোকসভার সদস্য হওয়ার জন্য নিজের জনতা দল (সেক্যুলার) থেকে লড়ছিলেন প্রজ্বল।

প্রজ্বল সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন এক মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে। প্রজ্বলকে তার দাদা দেবগৌড়াই ফিরে আসার এবং আইনের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর এক সপ্তাহ পরে বেঙ্গালুরু ফিরে গ্রেপ্তার হলেন প্রজ্বল।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রজ্বলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী মোট তিনটি মামলা করেছেন।

বেঙ্গালুরু আসার আগে এই সপ্তাহেই পরিবার, রাজ্যের মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন প্রজ্বল। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমি আদালতের মাধ্যমে এসব মিথ্যা মামলা থেকে বেরিয়ে আসবো।’’

প্রজ্বলের বাবা কর্ণাটকের সাবেক মন্ত্রী এইচ ডি রেভান্নাকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বাবা ও ছেলে দুজনেরই দাবি, মামলাগুলো তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।

নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা সামনে আসায় দেশজুড়ে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। রেভান্নাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকারের সমালোচনা করে বিরোধীরা। এর জবাবে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দোষীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’ বলে মন্তব্যে করেন মোদী।

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, আনন্দবাজার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান