‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম'- রক সংগীতের এক ঐতিহাসিক যাদুঘর
২৫ আগস্ট ২০১১১৯৬০ সালে যখন স্যাম কুক'এর ‘ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্লড' রেকর্ড বাজারে বেরোয় তখন তিনি ভাবতেও পারেননি যে ১৯৮৬ সালে তাঁকে ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম' এ অভিষিক্ত করা হবে৷ প্রসঙ্গত তিনি ছিলেন ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম'- এ স্থান পাওয়া প্রথম কয়েকজনের একজন৷ যদিও তিনি নিজে এই সম্মান উপভোগ করে যেতে পারেননি৷
১৯৮৬ সাল থেকে, প্রতিবছর, একটি সংগীত বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্বাচন করে পাঁচ থেকে দশজন প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পী বা গোষ্ঠী যাদের প্রথম রেকর্ড বা সিডি বেরিয়েছে কমপক্ষে ২৫ বছর আগে৷ ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম' এ অভিষিক্ত হওয়া যে কোন সংগীত তারকার জন্য এ হল এক বিরাট স্বীকৃতি৷ শুধু সংগীত তারকাই নন, গীতিকার ও প্রযোজকদেরও এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়৷
৮৬ সালে ‘হল অফ ফেম' এর যাত্রা শুরু হলেও তার জন্য একটি নির্দিষ্ট হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে অ্যামেরিকার ওহায়ো রাজ্যের ক্লিভল্যান্ড শহরে৷ ১৪ হাজার বর্গমিটার জুড়ে, পিরামিড আকৃতির এই জাদুঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৪ মিলিয়ন বা আট কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার৷ কিংবদন্তি রক তারকা চাবি চেকার, জেনিস জপলিন, এলভিস প্রেসলি থেকে শুরু করে দ্যা রোলিং স্টোনস, দ্যা বিটেলস এবং আরো অনেকের সংগীত জীবনের বহু স্মৃতি এবং মূল্যবান তথ্য এই জাদুঘরে স্থান করে নিয়েছে৷ যেমন, ষাট দশকে হামবুর্গে থাকাকালে ব্যবহৃত জন লেননের পুরনো চামড়ার জ্যাকেট, বিখ্যাত সোল সংগীত তারকা অটিস রেডিং যে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সেই বিমানের কিছু অংশ, জিমি হেন্ড্রিক্স এর কাটাকুটি করে হাতে লেখা ‘পার্পল হেইজ' গানের স্বরলিপি৷
দর্শকরা বোতাম টিপে পাঁচশোর বেশি গান শুনতে পারেন সেই সাথে বিরাট পর্দায় দেখতে পারেন টিনা টার্নার, দ্যা রোলিং স্টোনস বা সানতানার কিংবদন্তি কনসার্ট৷ রয়েছে থ্রি ডায়মনশ্যানাল শো৷ চোখে চশমা দিয়ে পর্দায় আইরিশ শিল্পী গোষ্ঠী ‘ইউ টু' এর কনসার্ট উপভোগ করতে গিয়ে দেখবেন আপনি নিজেও শিল্পী গোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়ে আছেন৷
বহু সংগীত শিল্পী এই সম্মানের আনন্দ উপভোগ করে যেতে পারেননি৷ আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন৷ কিন্তু অনেকেই পেরেছেন যেমন, বিখ্যাত রক তারকা এরিক ক্ল্যাপ্টন৷ তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি তিন তিনবার ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম' এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক