1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষে নতুন দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উৎসব

৮ মে ২০১১

ভারতের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছর রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উৎসব উপলক্ষ্যে নতুন দিল্লিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

https://p.dw.com/p/11BXY
ছবি: picture-alliance/dpa

ভারত-বাংলাদেশের যৌথভাবে আয়োজিত গতকালেরউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে খন্দকার৷ রবীন্দ্র প্রণতি শীর্ষক অনুষ্ঠানমালায় ভারত ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য কবি, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, লেখকরা যোগ দেয়ায় এই উৎসবে যুক্ত হয়েছে এক অনন্য মাত্রা৷

বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনের অন্তরে বাইরে, মননে চিন্তনে যিনি দেড়শো বছর ধরে সগৌরবে পরিব্যাপ্ত, সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে ভারত-বাংলাদেশের মিলিত শ্রদ্ধার্ঘ: রবীন্দ্র প্রণতি৷ গতকাল নতুনদিল্লিতে মূল অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়৷ তারপর বাংলাদেশের শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা৷

বর্ষব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.কে খোন্দকার, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমিটির সভাপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রমুখ৷ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্য, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং রবীন্দ্রানুরাগীরা৷

রবীন্দ্রনাথের সৃজন ও ভাবাদর্শ বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেবার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বিশ্বভ্রাতৃত্বের প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান, টেগোর ফেলোশিপ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৯৫ কোটি টাকা অনুদান, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত সাংস্কৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদির কথা বলেন৷

বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.কে খোন্দকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উৎসব দুদেশ যৌথভাবে পালনের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে আমরা একই ঐতিহ্যের অংশীদার৷ একই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ৷

ভারত-বাংলাদেশ রবীন্দ্র জন্মোৎসব কমিটির সভাপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, দুদেশের জাতীয় সংগীত রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ উপমহাদেশের প্রেরণা৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম তা মনে রাখবে৷ রবীন্দ্রনাথকে বাংলার গ্যেটে ও শেক্সপীয়ার বলে তুলনা টানেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷

এই উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমার ডিভিডি অ্যালবাম, রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত চিত্রাবলীর অ্যালবাম, স্মারক পুস্তক ইত্যাদি৷

দিল্লির বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে নানা অনুষ্ঠান৷ সংগীত, কথাকাব্য, সংগীতাবৃত্তি, নৃত্যনাট্য, রবিচিত্র প্রদর্শনী, রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র, নাটক, আলোচনাচক্র ইত্যাদি৷ আয়োজক ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, সাহিত্য আকাদেমি, সংগীত নাটক আকাদেমি৷ রবীন্দ্রভবনের মেঘদূত মুক্তমঞ্চে এই রকম এক অনুষ্ঠানে ছিলেন রবীন্দ্র সংগীতে সমর্পিত প্রাণ বাংলাদেশের শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা৷ রবীন্দ্র সংগীতের বিশুদ্ধতা নিয়ে আজকাল যে প্রশ্ন উঠছে, সেবিষয়ে ডয়চে ভেলেকে উনি বললেন, রবীন্দ্রসংগীতের বিশুদ্ধতা বলতে যদি গায়কি বোঝায় তাহলে একটু পরিবর্তন তো হচ্ছে এবং সেটা স্বাভাবিক৷ কবিগুরু নিজেই বলে গেছেন, সময়ের সাথে সাথে চলতে না পারলে সেই শিল্প মৃত৷ তবে অতি উৎসাহী হয়ে রবীন্দ্রনাথের কথায় সুর বসাবার চেষ্টা করলে সেটা হবে রবীন্দ্রনাথকে না জেনে করছেন৷ সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, রবীন্দ্রনাথের সার্ধ শতবর্ষ উদযাপনে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রয়াসকে উনি কীভাবে দেখছেন৷ রবীন্দ্র জয়ন্তী প্রতি বছরই হয় স্বত:স্ফুর্তভাবে ৷ বিভিন্ন জায়গায়৷ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে৷ রবীন্দ্রসদনে৷ এবারে হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে৷ কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী এর মধ্যে জড়িত৷ দুটো দেশ ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে করছে৷ ফলে আনুষ্ঠানিকতাই বেশি, স্বত:স্ফুর্ত আনন্দটা এখানে আশা করা যায় না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য