রবেনের যত অর্জন
মাঠে দ্রুতগতির সঙ্গে আরিয়েন রবেনের চমৎকার ফুটবল নৈপুণ্য দেখা যাবে না আর৷ ফুটবলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই ডাচ উইংগার৷ তাঁর ১৯ বছরের ক্যারিয়ার সম্পর্কে জেনে নিন ছবিঘরে৷
ফুটবলে সূচনা
ডাচ ক্লাব এফসি গ্রোনিঙ্গেনের যুব দলের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক হয় আরিয়েন রবেনের৷ এরপর জার্মান ক্লাব পিএসভি-র হয়ে খেলেন তিনি৷ সেখান থেকে যান চেলসিতে৷ চেলসির হয়ে দুটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, এফএ কাপ এবং লিগ কাপ জেতেন তিনি৷ তিন বছর পর রেয়াল মাদ্রিদে যান রবেন৷ স্প্যানিশ ক্লাবের হয়ে দুই বছর খেলার পর ব্রায়ান মিউনিখে যান তিনি৷ জার্মান ক্লাবটির হয়েই কিংবদন্তির মর্যাদায় পেয়েছেন তিনি৷
প্রথম বুন্দেসলিগা
২০০৯ সালে রেয়াল মাদ্রিদ থেকে যখন রবেন বায়ার্ন মিউনিখে আসেন, জার্মান ক্লাবটির সাফল্যে যেন নতুন মোড় আসে৷ ডাচ কোচ লুই ফন গালের অধীনে টানা অষ্টম শিরোপার প্রথমটি সেই মওসুমে জেতে বায়ার্ন৷
বিশ্বকাপের দুঃখ
২০১০ সালে বিশ্বকাপ শিরোপার খুব কাছে গেলেও ট্রফি ধরা দেয়নি রবেনের হাতে৷ ফাইনালে গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি৷ পরিণামে অতিরিক্ত সময়ের গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় স্পেন৷
স্বাতন্ত্র্য
বাঁ পায়ে বল নিয়ে ডান পাশ দিয়ে ছোটেন রবেন৷ ডিফেন্ডাররা বুঝতে পারেন কী করতে চলেছেন তিনি- কিন্তু তাঁর গতি আর নৈপুন্যের কাছে বছরের পর বছর নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে তাঁদের৷ গতির সঙ্গে ড্রিবলিং দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষাব্যুহ বারবার ভেঙেছেন রবেন৷
দেশের হয়ে ৩৭
১৯ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৯৬ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন রবেন৷ ২০১০ বিশ্বকাপে হল্যান্ডকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেলেও ফাইনালে জেতাতে পারেননি তিনি৷
‘রোবারি’
ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার ফ্রাঙ্ক রিবেরির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তুলে দীর্ঘ এক দশক ইউরোপীয় ফুটবলে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই ডাচ কিংবদন্তি৷ এ কারণে রোবেনের নাম বলতেই রিবেরির নাম চলে আসে৷ দু’জনের নাম মিলিয়ে তাই পরিভাষাও তৈরি হয়েছে— ‘রোবারি’৷
সেরা মুহূর্ত
বলা যায়, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের গোল রবেনের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত৷ বায়ার্নের চিরশত্রু ডর্টমুন্ডের সঙ্গে খেলার বাকি মাত্র দুই মিনিট৷ ফ্রাঙ্ক রিবেরির কাছ থেকে বল দখলের আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডাররা৷ কিন্তু তারা কিছু বুঝের ওঠার আগেই পেছন দিক থেকে আচমকা সামনে আসেন রোবেন৷ ডর্টমুন্ডের গোলকিপার আর ডিফেন্ডারদের হতভম্ব করে জয়সূচক গোলটি করে ফেলেন তিনি৷
৯৯ গোল
আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের বিপক্ষের ম্যাচটি রবেনের জীবনের শেষ ম্যাচ৷ এ ম্যাচেও বায়ার্ন জিতেছে এবং বিবেরি ও রবেন দুইজনেই গোল করেছেন৷ শেষটি মিলিয়ে বুন্দেসলিগায় রন গোল করেছেন ৯৯টি৷
শেষ শিরোপা
পেশাদার ফুটবলে রোবনের শেষ খেলায়ও শিরোপা জিতেছে তার দল বায়ার্ন মিউনিখ৷ জার্মান কাপের ফাইনালে লাইপসিশের বিপক্ষে গত ২৫ মে শিরোপা জিতে রোবেনের দল৷ খেলার ৭৩তম মিনিটে অতিরিক্ত খেলোয়াড হিসাবে নামেন ৩৫ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার৷