রাইসির আমলের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

২০২১ সালের জুন মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন অতি রক্ষণশীল এব্রাহিম রাইসি৷ ভোটের আগে হেভিওয়েট রক্ষণশীল ও উদার প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল৷

দায়িত্ব নেওয়ার একবছরের মধ্যে ‘হিজাব ও সতীত্ব আইনের’ কঠোর বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয় রাইসির সরকার৷ এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় ২২ বছর বয়সি মাশা আমিনি মারা যান৷ কঠোর পোশাক রীতি না মানার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল৷

মাশা আমিনির মৃত্যুর পর নারীদের নেতৃত্বে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ রাইসির সরকার সেটি কঠোর হাতে দমন করেছিল৷ এতে কয়েকশ মানুষ, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্যও ছিলেন, প্রাণ হারান বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে৷

২০১৫ সালে ছয়টি দেশ ও ইরানের মধ্যে যে পরমাণু চুক্তি সই হয়েছিল ২০১৮ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এবং তারপর ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল৷ রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পরমাণু আলোচনা বিষয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেন৷ ফলে বাইড্রেন প্রশাসন ও ইরানের সরকারের মধ্যে যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল, সেটি স্থগিত হয়ে যায়৷

চীনের মধ্যস্থতায় প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের মার্চে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়৷ ২০১৬ সালে সৌদি আরবে ইরানের প্রখ্যাত শিয়া নেতা নিমর আর-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল৷

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে ১৩ এপ্রিল ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায়৷ সিরিয়ার দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এই হামলা চালিয়েছিল ইরান৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের মিত্রশক্তিরা ইরানের বেশিরভাগ ড্রোন ও মিসাইল আটকে দিয়েছিল৷