রাখাইনে সৈন্য সমাবেশ, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, রোববার বিকালে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়৷ মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা উনাকে ডেকেছিলাম এবং আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। বলেছি, তিনি যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেন।”
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে শুক্রবার ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনকভাবে দেখার খবর জানায়৷ এছাড়া সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পয়েন্টে গত কয়েক দিনে মিয়ানমার সৈন্যদের দেখা যাওয়ার কথা জানায় স্থানীয়রা।
রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই সীমান্তে টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷
তিন বছর আগে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়টি স্মরণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, "রাখাইনে সংঘাত এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও রয়েছে। সে কারণে আমাদের জন্য তা বেশ উদ্বেগের। আবার যদি কোনো কারণে রোহিঙ্গা ঢল নামে আমাদের চাপের উপর চাপ বাড়বে।”
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর বাইরে আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল আরো চার লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও মিয়ানমার এখনো রোহিঙ্গাদের নিতে শুরু করেনি৷
গত বছর দু'দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে রাজি হননি। রোববার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ শুরুর আহ্বানও জানিয়েছে বাংলাদেশ৷
এসিবি/এফএএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)