1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার লঙ্ঘন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ মার্চ ২০১৩

রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান৷ কোনো নেতা-নেত্রীর বক্তব্যে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইঙ্গিত থাকে তাও দুঃখজনক৷

https://p.dw.com/p/17zZb
ছবি: Reuters

সোমবার ভোর ৬টা থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলের টানা হরতাল শুরু হয়৷ তবে ৪৮ ঘন্টার হরতালে ১২ ঘণ্টা ছাড় দিয়ে ৩৬ ঘণ্টা করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় এই হরতাল শেষ হবে৷

হরতালে ঢাকায় পিকেটারদের তেমন দেখা না গেলেও গাড়ি-ভাঙচুর, আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে৷ আর এই ঘটনাগুলো ঘটেছে আকস্মিক এবং অনেকটা চোরাগোপ্তা স্টাইলে৷ এমনকি হরতালে বের না করা গ্যারেজের গাড়িতেও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ হরতালে নতুন আতঙ্ক হিসেবে এসেছে পেট্রোল বোমা৷ অন্তত ২টি পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে৷

পুলিশ হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে ঢাকায় কোন সংঘর্ষে না জড়ালেও ঢাকার বাইরে কয়েকটি জায়গায় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ এদিকে ফেনীতে পিকেটারদের হামলায় আহত একজন ট্রাক চালক মারা গেছেন৷ সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে ময়দা বোঝাই ট্রাক নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে ট্রাক চালক নূর মোহাম্মদ পিকেটারদের হামলায় গুরুতর আহত হন৷ সকাল ৮টার দিকে তিনি হাসপাতালে মারা যান৷

অন্যদিকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, হরতাল একটি রাজনৈতিক অধিকার৷ এই অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা যাবেনা৷ হামলা, ভাঙচুর, জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কোনভাবেই রাজনৈতিক কাজ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়৷ এর মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, কোনো নেত্রী যখন রাজনৈতিক আন্দোলনে জানমালের ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন, তা খুবই দুঃখজনক৷ এই বক্তব্যের মাধ্যমেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়৷

ড. মিজান বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা জাতির এই সংকট কালে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন৷ তাদের সিদ্ধান্ত এবং সংলাপকে প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমেই তারা দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন৷ অথচ দেশকে সংঘাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব তাদের৷ দেশের মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্ব তাদের৷

ড. মিজান আরও বলেন, এই সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে৷ তারা যেন গুলি না ছুঁড়তে সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দেন৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবন রক্ষার অধিকার সবার৷ তাই পুলিশ আক্রান্ত হলে সে তার জীবন রক্ষায় যা প্রয়োজন তা করবে এটাই স্বাভাবিক৷ তাঁর মতে, টার্গেট করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পরিকল্পিত হামলা রাষ্ট্রের ওপর হামলার শামিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য