রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক ঝড়
৬ অক্টোবর ২০১১রাজনৈতিক ঝড় সামলাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এখন দিল্লিতে৷ সম্ভবত ইস্যুটিকে তিনি সামলাতে চাইছেন দুদিক থেকে৷ এক, তাঁর বিরুদ্ধে আনা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির অভিযোগের জবাব আইনি পথে দেয়া৷ দুই, কেন্দ্রে কংগ্রেস-জোট সরকারের শরিকদল হিসেবে রাজনৈতিক স্তরে সরকারে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রকৃত অবস্থা ব্যাখ্যা করা৷
গত ৩০শে সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক কর্মী সইদ মহম্মদ ইউসুফের রহস্যজনক মৃত্যু হয়৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এই মৃত্যুর পেছনে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের হাত আছে৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেয়া উচিত৷
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বক্তব্য, দুর্নীতির অভিযোগ আসায় দলের তিন কর্মীকে তিনি ডেকে পাঠান ৷ এরা হলেন, সইদ মহম্মদ ইউসুফ, আবদুল সালাম রেসি ও মহম্মদ ভাট৷ রাজ্যের অপরাধ দমন শাখার অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয় বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে৷ তারপরের দিন ইউসুফ মারা যান৷ এখানে তাঁর ইস্তফা দেবার প্রশ্ন ওঠেনা৷ বিচারবিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেয়া হয়েছে৷ সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রিপোর্ট আসবে তখনই বেরিয়ে আসবে আসল সত্য৷
কিন্তু অপর দুই কর্মীর অভিযোগ, মৃত ইউসুফ একজনকে মন্ত্রীত্ব ও আরেক জনকে বিধায়ক পদ পাইয়ে দেবে বলে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সওয়া এক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিল৷ সেটা ফাঁস হওয়াতেই এই কাণ্ড৷ বিজেপি নেতা শাহ নওয়াজ হোসেন মনে করেন, দিল্লিতে ঘুষ দিয়ে ভোট কাণ্ডের মত জম্মু কাশ্মীরেও একই জিনিস চলছে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শরীক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের মন্ত্রী ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লা ছেলের পক্ষ হয়ে বলেন, বিচারবিভাগীয় তদন্ত চলছে৷ শুধু রাজ্য নয় গোটা দেশের লোকেরাই জানতে পারবে প্রকৃত সত্য৷ বিরোধী দল পিডিপির অভিযোগ একটা রাজনৈতিক চমকমাত্র৷ যেন তেন প্রকারেণ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ