1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজবন্দিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে উত্তর কোরিয়া

৪ মে ২০১১

মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তোলা স্যাটেলাইট ছবির সূত্র ধরে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া তাদের বন্দিশালার পরিধি বাড়িয়েছে৷ আর তাদের হাতে আটক অবস্থায় রয়েছে দুই লাখেরও বেশি রাজবন্দি৷

https://p.dw.com/p/118Xa
পিয়ংইয়ং-এ সামরিক কুচকাওয়াজছবি: AP

সরকারের বিরুদ্ধবাদীদের আটক করছে উত্তর কোরিয়ার সরকার৷ আর এদেরকে জেলে আটক করা করে রাখা হচ্ছে৷ সেখানে তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে অত্যাধিক পরিশ্রমের কাজ, করা হচ্ছে নির্যাতন৷ এক কথায় তাদের সঙ্গে ঠিক দাসের মতোই ব্যবহার করা হচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক এই সংগঠন গত মঙ্গলবার ঐ দেশের ছয়টি বন্দিশালার মধ্যে চারটির স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে৷ এসব ছবির সঙ্গে ২০০১ সালে তোলা ঐ বন্দিশালাগুলোর ছবির তুলনা করে বলা হয়, ওগুলোর পরিধি যে বাড়ানো হয়েছে - তা স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে৷ অ্যামেনেস্টির ধারণা, ১৯৫০ সাল থেকে এই বন্দিশিবিরগুলো চালু রয়েছে৷

অ্যামেনেস্টি জানায়, তারা এই বিষয়টি নিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষ, সাবেক রাজনৈতিক বন্দি এবং কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ এদের সঙ্গে কথা বলে বন্দিশিবিরের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তা সত্যিই ভয়াবহ এবং অমানবিক৷ সাবেক বন্দিরা জানিয়েছেন, সেই সব বন্দিশালায় আটককৃতদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়৷ চালানো হয় হিংস্র নির্যাতন৷ শুধু তাই নয়, সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থাও নাকি একেবারেই অপ্রতুল৷ খাবারের অভাব সেখানে সব সময়, বেঁচে থাকার জন্য সর্বনিম্ন যে খাবারের প্রয়োজন, তাও তাদের দেয়া হয় না৷ ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ট বহু বন্দি কারাগারের ইঁদুর পর্যন্ত খেয়ে থাকেন বলে জানান সাবেক সব বন্দিরা৷

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বন্দিদের উপর এহেন আচরণের ঘটনা কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারে না উত্তর কোরিয়া৷ তাই এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার প্রতি সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামেনেস্টি৷

প্রতিবেদেন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ