1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজস্থানের কোটায় বাঙালি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

২৮ নভেম্বর ২০২৩

কোটায় পড়তে গেছিলেন এই ছাত্র। এই নিয়ে কোটায় এবছর ২৮ জন ছাত্র আত্মহত্যা করলো।

https://p.dw.com/p/4ZVZg
রাজস্থানের এই শহরেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার
রাজস্থানের কোটা শহরছবি: Manish Kumar/DW

পশ্চিমবঙ্গের ছেলে ফরিদ। রাজস্থানের কোটায় অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের জন্য তৈরি হতে গেছিল সে। কোটার একটি কোচিংয়ে পড়ছিল। মঙ্গলবার সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে।

রাজস্থানের কোটা কার্যত একটি কোচিং শহরে পরিণত হয়েছে। আইআইটি এবং মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের কোচিং দেওয়া হয় শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। হাজার হাজার ছাত্র গোটা দেশ থেকে সেখানে যান কোচিং নিতে। অভিযোগ, কোচিংগুলিতে ছাত্রদের উপর প্রবল চাপ দেওয়া হয়।

চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই আত্মহননের পথ খুঁজে নেন। বস্তুত, এবছর এখনো পর্যন্ত ২৮ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ফরিদ সর্বশেষ। শুধু তা-ই নয়, দেশের আইআইটি-গুলিতেও প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আইআইটি-গুলিতেও আত্মহত্যার ঘটনা লেগে আছে।

মন-সমাজবিদ মোহিত রণদীপ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''প্রথমত, এমন পড়ার চাপ দেওয়াই উচিত নয়, যার জেরে ছাত্ররা আত্মহত্যা করবেন। দ্বিতীয়ত, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ট্রেনিং যদি এতই ভয়াবহ হয়, তাহলে ওই ট্রেনিং সেন্টার বা কোচিং সেন্টারগুলিতে মনোবিদ রাখা দরকার।'' এই মনোবিদেরা নিয়মিত ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখতে পারেন বলে মনে করেন মোহিত। বস্তুত, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ছাত্রদের উপর এত চাপ দেওয়া হচ্ছে! প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধরন বদলানোর কথাও বলছেন কেউ কেউ।

মোহিতের দাবি, কোটায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ওই কোচিং সেন্টারগুলিতে প্রশাসনের ভিজিলেন্স শুরু করা উচিত। কোচিং সেন্টারগুলি আদৌ ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত এবং প্রয়োজনে সেন্টারগুলির লাইসেন্স বাতিল করা উচিত। এক বছরে যখন ২৮ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেন, তখন বোঝা যায়, ওই জায়গা পড়াশোনার উপযুক্ত নয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)