হরতাল
১৮ ডিসেম্বর ২০১২মঙ্গলবার বাংলাদেশে আবার হরতাল৷ তবে এবারের হরতাল নানা কারণেই একটু অন্যরকম৷ সকাল-সন্ধ্যার এ হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা৷ জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করা, আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় আগুনের জন্য মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেয়া এবং দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এ হরতাল ডেকেছে তারা৷ এ নিয়েই কথা হলো সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে৷
কথোপকথনের এক পর্যায়ে হরতাল আহ্বানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বলা হয়েছিল৷ অভিজ্ঞ এই বাম রাজনীতিবিদ সবিস্তারেই নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার কথা এসেছে সেখানে, এসেছে স্বাধীনতার পর সংবিধানে দলটিকে অবৈধ করা এবং পরবর্তীতে ‘অবৈধভাবে' আবার বৈধ হবার প্রসঙ্গ৷ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে দাবি করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ করে তাদের অভিযুক্ত নেতাদের মুক্ত করার জন্য পুলিশের ওপর হামলা, মন্ত্রীর গাড়িতে হামলাসহ তারা অনেক কিছুই করেছে এবং করছে৷ জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এত বড় দুঃসাহস তারা (জামায়াত) পেয়েছে৷ এই ঔদ্ধত্বের একটা দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল৷ জনগণের সেই প্রতিবাদের আকাঙ্খাকে প্রতিধ্বনিত করেই আমরা এ হরতাল ডেকেছি৷''
কিন্তু এ হরতালে কি দেশের জনগণের সমর্থন থাকবে? দলগুলো ছোট এবং তাদের ডাকা হরতালে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির যেখানে সমর্থন নেই, সেখানে হরতাল সফল হবে, এ আশা কী করেন? মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম হরতাল সফল না হবার কোনো কারণ দেখছেন না, কারণ, তাঁর মতে, ‘‘রাজাকার ছাড়া আর কেউ এ হরতালের বিরোধিতা করতে পারে না৷''