রাজার জন্মদিনে রাজতন্ত্রের অবসানের দাবি
৩০ জুলাই ২০২০থাইল্যান্ডের রাজা মহাভাজিরালোংকর্ন করোনা-সংকট ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই অবকাশ যাপনের জন্য জার্মানিতে চলে আসেন৷ তাই মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে নিজের জন্মদিনের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে তিনি থাকতে পারেননি৷
রাজার জন্মোৎসবের দিনে রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ রাজার প্রতি অনুগত থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেন৷ প্রথা অনুযায়ী ৬৯ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুর উপস্থিতিতে এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়৷
অন্যদিকে রাজার জন্মদিনেও সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ হয়েছে থাইল্যান্ডে৷ সেখানে রাজার বিরুদ্ধেও উঠেছে শ্লোগান৷ রাজতন্ত্র অবসানের দাবিতে লেখা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে বিক্ষোভ আন্দোলনরতদের হাতে৷
‘রামা দশ' নামেও পরিচিত রাজা মহাভাজিরালোংকর্ন করোনা সংকটের সময় প্রবাসে নিষ্ক্রিয় সময় কাটাচ্ছেন৷ তার এই নিষ্ক্রিয়তায় সরকারবিরোধীরা ক্ষুব্ধ৷
রাজার সমালোচনা দণ্ডনীয় অপরাধ
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের এক বিলাসবহুল হোটেলে রাজা মহাভিজিরালোংকর্নের দিন কেমন কাটছে তা প্রায়ই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসছে৷ তবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে সেসব খবর থাইল্যান্ডে প্রকাশ করা হয় না৷
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সব ধরনের তৎপরতা আইনত দণ্ডনীয়৷ রাজতন্ত্রের বা রাজার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যের কারণেও তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷
রাজতন্ত্র-বিরোধিতার কারণে মানসিক হাসপাতালে
অ্যাক্টিভিস্ট টিয়াগন উইদিটন নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনার এক পর্যায়ে ‘‘আমি রাজতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছি'' লেখা টি-শার্ট পরে ছবি তুলেছিলেন৷ সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর তাকে মানসিক চিকিৎসার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে তার মুক্তির দাবিও ওঠে৷ দু সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর গত ২২ জুলাই উইদিটন ‘মুক্তি' পেয়েছেন৷
জার্মানিতে রাজার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
রাজা মহাভাজিরালোংকর্ন নিজের দেশ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কিলোমিটার দূরে জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের এক বিলাসবহুল হোটেলে থেকেও বিক্ষোভের আঁচ পাচ্ছেন৷ তার জন্মদিনে অলাভজনক সংস্থা পিক্সেলহেল্পার ফাউন্ডেশন এবং জার্মানিতে অবস্থানরত থাই নাগরিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে৷
নির্বাসিত অ্যাক্টিভিস্ট জুনিয়া ইম্প্রাসার্টের নেতৃত্বে এদিন বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়৷ সমাবেশে ইম্প্রাসার্ট বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করা৷''
এসিবি/কেএম