রাজ্য নির্বাচনে পপুলিস্টদের সাফল্যে নাড়া খেল জার্মান সরকার
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪জার্মানির রাজ্য নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক৷ জাতীয় নির্বাচনে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সেসম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় আঞ্চলিক নির্বাচন দেখে৷ তাই, যদিও ১৬টি রাজ্যের মাত্র দুটো রাজ্যে পহেলা সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তাতে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫০ লাখের মতো, তারপরও এর ফলাফলের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে৷
এই প্রথম কোনো রাজ্য নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেয়েছে উগ্র ডানপন্থি ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা সংক্ষেপে এএফডি দল৷ পাশাপাশি বামপন্থি সারা ভাগেনক্নেশটের নতুন পপুলিস্ট বিএসডাব্লিউ জোট প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুই অংকের ঘরে ভোট পেয়েছে৷ আর যে দলগুলো রাজধানী বার্লিনভিত্তিক কেন্দ্রীয় সরকারে রয়েছে সেগুলো আগে কখনো আঞ্চলিক ভোটে এত বাজে ফলাফল করেনি৷
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জার্মানির পূর্বাঞ্চলের আরেক রাজ্য ব্রান্ডেনবুর্গে আঞ্চলিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানেও জরিপে এগিয়ে রয়েছে এএফডি৷ তবে দলটির কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীন জোটে থাকা সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷ সেখানে নির্বাচনে নিজেদের জয় ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে দলটি৷
প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচনে হতাশাজনক ফলাফল হলে ক্ষমতাসীন সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, পরিবেশবান্ধব সবুজ এবং ব্যবসাবান্ধব এফডিপি দলের জোটের কী হবে? ইতোমধ্যে দলগুলোর মধ্য থেকে নিজেদের উপস্থিতি আরো বাড়ানোর এবং অবস্থান মজবুত করার ডাক এসেছে৷
এই জোটের মধ্যে ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ পাশাপাশি এটাও দেখার বিষয় রয়েছে যে জোট সরকার সম্প্রতি অভিবাসন নীতি আরো কড়া করার যে ঘোষণা দিয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে পারে কিনা৷ কারণ এসপিডির বামপন্থি এবং সবুজ দলের কিছু নেতা এই উদ্যোগে সায় দেননি৷
এদিকে বর্তমানে বিরোধী দলে থাকা খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্র দল সিডিইউ এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্র সিএসইউ আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের উপর কড়া অভিবাসন নীতি বাস্তবায়েন চাপ দিচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, এই নীতি আরো কড়া করার পক্ষে অবস্থান তাদের৷
প্রতিবেদন: সাবিনে কিনকারৎস/এআই