রামপাল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
৫ অক্টোবর ২০১৩দুটি ঘটনাকেই নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷
সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নতুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন৷ প্রথমে বাংলাদেশ-ভারত ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করা হয়৷ এরপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় বাগেরহাটের রামপালে ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের৷ এই কেন্দ্র রামপালে হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কুষ্টিয়ায়৷
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো প্রকল্প এই সরকার অনুমোদন দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দেবেনা৷
আন্দোলন এবং প্রতিবাদের মুখেই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলো৷ আর তার উদ্বোধন রামপালে না করে করা হলো কুষ্টিয়ায়৷ তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন৷ সুন্দরবনসহ পরিবেশ রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবশ্যই প্রতিহত করা হবে৷
এদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন বিদ্যুৎ আসাও শুরু হলো আনুষ্ঠানিকভাবে৷ বাংলাদেশ ভারত থেকে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে৷ এরমধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট আসবে ভারতের সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে৷ আর বাকি আড়াইশো মেগাওয়াট আসবে বেসরকারি বিদ্যুত প্রতিষ্ঠান থেকে৷ এজন্য বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ২০ বছরের চুক্তি করেছে৷ শনিবার থেকে বাংলাদেশের গ্রিডে ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়েছে৷ অক্টোবরের শেষ নাগাদ যা ২৫০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে৷ নভেম্বর নাগাদ পুরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ৷ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম ডয়চে ভেলেকে জানান এর মাধ্যমে সার্ক বিদ্যুৎ গ্রিডের যাত্রা শুরু হলো৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে বিদ্যুৎ খাত যেন কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে৷ আর সার্ক গ্রিডকে কার্যকর করতে হলে সার্কভুক্ত সব দেশকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে দক্ষতা এবং সক্ষমতা অর্জন করতে হবে৷ নয়তো একক কোনো দেশ এর সুবিধা নিতে পারে৷