‘সব দলের অংশগ্রহণে হামলা’
১৮ অক্টোবর ২০১২আর এই হামলায় জামায়েত ইসলামী, বিএনপি, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা কর্মীরাই অংশ নিয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর তদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ তারা মনে করে, কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসন পরিবর্তন না করে তাদের দিয়ে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে প্রকৃত সত্য জানা যাবেনা৷ বিচার পাবেন না ক্ষতিগ্রস্তরা৷
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু এবং এরপর চট্টগ্রামের পটিয়াসহ কয়েকটি এলাকার বৌদ্ধ বসতি এবং বিহারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা৷ এই ঘটনা তদন্তে ‘অধিকারের' তিন সদস্যের টিম ঐ এলাকায় এক সপ্তাহ কাজ করেছে৷ সংস্থাটির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ঐ এলাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার কোনো ঘটনা নাই৷ শত শত বছর ধরে সব ধর্মের লোক এস সঙ্গে বসবাস করে আসছেন৷ তাদের তদন্তে দেখা গেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একটি মহল এই কাজ করেছে৷ আর হামলায় সব দল, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়েতের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন৷
তিনি জানান, এই হামলায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা গোয়েন্দাদের৷ পরিকল্পিত হামলা করার আগে স্থানীয় অনেকেই জানতো৷ কিন্তু গোয়েন্দারা কেন জানতে পারলেন না? আর পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ক্ষমাহীন৷
আদিলুর রহমান খান বলেন, ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসনকে এখনো সেখানে বহাল রাখা হয়েছে৷ আর তাদের দিয়েই চালানো হচ্ছে তদন্ত কাজ৷ এই তদন্ত যথার্থ হবে বলে মনে করেন না তিনি৷ তিনি আরও বলেন, হামলার পরবর্তী সময়ে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়ের ভূমিকাই দুঃখজনক৷ তারা জাতিকে এক করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা না নিয়ে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন৷