1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সব দলের অংশগ্রহণে হামলা’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ অক্টোবর ২০১২

বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামে বৌদ্ধ বসতি এবং বিহারে হামলা ও আগুনের ব্যাপারে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে৷ ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ আর প্রশাসন৷

https://p.dw.com/p/16RzX
হামলায় সব দল, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়েতের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images

আর এই হামলায় জামায়েত ইসলামী, বিএনপি, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা কর্মীরাই অংশ নিয়েছে৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর তদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷ তারা মনে করে, কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসন পরিবর্তন না করে তাদের দিয়ে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে প্রকৃত সত্য জানা যাবেনা৷ বিচার পাবেন না ক্ষতিগ্রস্তরা৷

গত ২৯শে সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু এবং এরপর চট্টগ্রামের পটিয়াসহ কয়েকটি এলাকার বৌদ্ধ বসতি এবং বিহারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা৷ এই ঘটনা তদন্তে ‘অধিকারের' তিন সদস্যের টিম ঐ এলাকায় এক সপ্তাহ কাজ করেছে৷ সংস্থাটির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আদিলুর রহমান খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ঐ এলাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার কোনো ঘটনা নাই৷ শত শত বছর ধরে সব ধর্মের লোক এস সঙ্গে বসবাস করে আসছেন৷ তাদের তদন্তে দেখা গেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একটি মহল এই কাজ করেছে৷ আর হামলায় সব দল, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়েতের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন৷

তিনি জানান, এই হামলায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা গোয়েন্দাদের৷ পরিকল্পিত হামলা করার আগে স্থানীয় অনেকেই জানতো৷ কিন্তু গোয়েন্দারা কেন জানতে পারলেন না? আর পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ক্ষমাহীন৷

আদিলুর রহমান খান বলেন, ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসনকে এখনো সেখানে বহাল রাখা হয়েছে৷ আর তাদের দিয়েই চালানো হচ্ছে তদন্ত কাজ৷ এই তদন্ত যথার্থ হবে বলে মনে করেন না তিনি৷ তিনি আরও বলেন, হামলার পরবর্তী সময়ে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়ের ভূমিকাই দুঃখজনক৷ তারা জাতিকে এক করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা না নিয়ে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য