বৌদ্ধ পল্লী গড়ে উঠছে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩সংশ্লিষ্টরা জানান, জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে৷ আর মন্দিরে বৌদ্ধ মূর্তি আনা হতে পারে থাইল্যান্ড থেকে৷
গত বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামু বৌদ্ধ বসতিতে সাম্প্রদায়িক হামলায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ ধ্বংস করা হয় মন্দির, পুরাকীর্তি এবং ঘর-বাড়ি৷ আর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বৌদ্ধ সম্প্রদায়৷ কিন্তু সরকারের দ্রুত ব্যবস্থার কারণে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির এবং বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি ব্যবস্থাপনায়৷ জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান রামুর বৌদ্ধ পল্লীর এই কাজের সঙ্গে জড়িত বিটাকের নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত৷
আর রামু বৌদ্ধ পল্লীর নেতা অধ্যাপক পরীক্ষিত বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, যে আস্থাহীনতার সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে৷
একই কথা বলেন শিশির দত্ত৷ ধ্বংস করে ফেলা বৌদ্ধ মূর্তিসহ আরো অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়৷ তবে থাইল্যান্ড সরকারের সহায়তায় বৌদ্ধ মূর্তিগুলো পুন:স্থাপনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি৷
তারা দু'জনই জানান মন্দিরগুলো আগের রূপে ফিরে পাওয়া যাবে না৷ তবে তাদের সম্মতি নিয়েই নতুন নকশা করা হয়েছে৷ তারা আশা করেন নতুন মন্দির এবং বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে এটাও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন এক দৃষ্টান্ত হবে৷