1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

রাশিয়া কি লেজার অস্ত্র ব্যবহার করছে!

২৩ মে ২০২২

সম্প্রতি রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করতে তারা অত্যাধুনিক লেজার অস্ত্র ব্যবহার করছে। অ্যামেরিকা এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।

https://p.dw.com/p/4BiEs
রাশিয়ার লেজার অস্ত্র
ছবি: Mil.ru/Wikipedia

রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসভ বুধবার দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি দাবি করেছন, ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রেমলিন লেজার ওয়েপেনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। যার নাম জাদিরা। রাশিয়ার দাবি, ওই অস্ত্রের সাহায্যে তারা ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করেছে। উপগ্রহের ক্যামেরা ঢেকে দিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে তাদের এই আধুনিক অস্ত্র।

ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জাদিরা তাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেমের একটি অংশ। যার মধ্যে একটি লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যাকে বলা হয় পেরেসভেট। বরিসভের দাবি, এই অস্ত্রের সাহায্যে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের স্যাটেলাইটের ছবি ব্লক করে দেওয়া যায়।

লেজার অস্ত্রের অর্থ কী

অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লেজার অস্ত্রের সাহায্যে খুব সহজে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। খুব জোড়ালো লেসার বিমের সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুতে ফুটো তৈরি করে দেওয়া যায়। তবে আধুনিক লেজার অস্ত্রের সাহায্যে আরো বড় আক্রমণ সম্ভব। লক্ষ্যবস্তুকে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। আরো সুবিধা হলো, লেজার অস্ত্র তৈরির জন্য কোনোরকম গোলাবারুদের প্রয়োজন হয় না। অত্যন্ত কম খরচে এই অস্ত্র তৈরি সম্ভব। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একটি লেজার অস্ত্র তৈরি করতে এক ডলারেরও কম অর্থ খরচ হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লেজার অস্ত্র তৈরির প্রকল্প শুরু করেছে। কিছুদিন আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, তারা পৃথিবীর প্রথম লেজার অস্ত্র তৈরি করতে পেরেছে। অ্যামেরিকাও লেজার অস্ত্র তৈরির দাবি করেছে। তবে রাশিয়া এমন অস্ত্র তৈরি করেছে কি না, তা নিয়ে কারো কাছে কোনো খবর ছিল না। রাশিয়া এর আগে এমন দাবিও করেনি।

সত্যি কি রাশিয়া ব্যবহার করছে

পেন্টাগনের অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইউক্রেনে রাশিয়া যে ধরনের হামলা চালিয়েছে, তাতে এখনো পর্যন্ত লেজার অস্ত্র ব্যবহারের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে রাশিয়ার দাবি মিথ্যা বলেই মনে হচ্ছে। রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ড্রোন নষ্ট করেছে ওই অস্ত্রের সাহায্যে। বস্তুত, ইউক্রেনের ড্রোন নিয়ে চিন্তায় রাশিয়া। ন্যাটো ক্রমাগত ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করছে। সেই ড্রোনের সাহায্যে রাশিয়ার সেনার অবস্থান যেমন দেখে নিচ্ছে ইউক্রেন তেমন ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণও চালাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ড্রোন হামলার জন্য রাশিয়ার সেনাকে পিছু হঠতে হয়েছে বলে পেন্টাগনের দাবি। সে কারণেই ড্রোন ধ্বংসের নতুন তত্ত্ব ক্রেমলিন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে পেন্টাগনের দাবি।

জেলেনস্কির দাবি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, একসময় নাৎসিরা এভাবে প্রোপাগান্ডা চালাতো। ভুয়া অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বিপক্ষের মনোভাব ভাঙার চেষ্টা করতো। রাশিয়া ঠিক সে কাজটিই করছে এখন।

মনির ঘেয়েদি/এসজি