1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

রাশিয়ার অস্ত্র বলছে তারা হারের মুখে: জেলেনস্কি

১৯ অক্টোবর ২০২২

ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া, দাবি ইউক্রেনের। ইরান অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।

https://p.dw.com/p/4INEV
ইউক্রেন
ছবি: Iranian Army Office/ZUMA/IMAGO

সম্প্রতি ইউক্রেনের সেনাপ্রধান দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার পাঠানো একাধিক ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে। মাটিতে নামানো সেই ড্রোন দেখে বোঝা গেছে, রাশিয়া ইরানের পাঠানো ড্রোন ব্যবহার করছে। মঙ্গলবার রাতে ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার অস্ত্র দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তারা এই যুদ্ধে কতটা পিছিয়ে পড়েছে।

জেলেনস্কির বক্তব্য, রাশিয়া হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে তাদের অস্ত্রের পিছনে। দীর্ঘদিন ধরে তারা অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু যুদ্ধে অবশেষে তাদের ইরানের সাধারণ ড্রোন ব্যবহার করতে হচ্ছে। জেলেনস্কির দাবি, ইরানের তৈরি সাহেদ-১৩৬ কামেকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। তার ব্যাংকরাপ্ট হয়ে গেছে। ইরানের মিসাইলও তারা ব্যবহার করছে বলে জেলেনস্কির দাবি।

ইরান অবশ্য জেলেনস্কির এই দাবি অস্বীকার করেছে। রাশিয়াকে তারা কোনো অস্ত্র দেয়নি বলে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এদিকে, মঙ্গলবারের বক্তৃতায় জেলেনস্কি ফের পশ্চিমা দেশগুলিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাদের পাঠানো অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম ইউক্রেনকে এগিয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অ্যামেরিকা আগেই এই ধরনের মিসাইল ধ্বংসকারী সিস্টেম ইউক্রেনকে পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি জার্মানিও একটি আইরিস-টি অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম পাঠিয়েছে ইউক্রেনকে। আরো তিনটি পাঠানোর কথা তাদের।

অন্যদিকে, অ্যামেরিকা-সহ একাধিক রাষ্ট্র ইরানের বিষয়টি জাতিসংঘের বৈঠকে তুলবে বলে জানা গেছে। রাশিয়াকে ইরান অস্ত্র সরবরাহ করছে, এই মর্মে অভিযোগ জানানো হবে।

খেরসন হামলার প্রস্তুতি

এদিকে রাশিয়া নতুন করে খেরসন অঞ্চলে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি খেরসনের মানুষকে পালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়া জানিয়েছে, সমস্ত মানুষকে সরিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। নিরাপদ জায়গায় রাখা হবে তাদের। প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের মিসাইলের হাত থেকে বাঁচাতেই তাদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাশিয়া নতুন করে ওই অঞ্চলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খেরসন-সহ চারটি অঞ্চলে রাশিয়া বেশ কিছু এলাকা আগেই দখল করেছিল। সেখানে গণভোটের মাধ্যমে জায়গাগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তও করেছিল। যদিও ইউক্রেন-সহ কোনো দেশই তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। সম্প্রতি খেরসন অঞ্চলে বেশ কিছু দখল হয়ে যাওয়ার জায়গা ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করে। তারপরেই রাশিয়ার এই প্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)