রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় ‘দ্বিমুখী নীতির’ সমালোচনায় আরবরা
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়াকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা৷ অথচ দীর্ঘদিন ধরে তারা খেলার সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোর নীতি অনুসরণ করে আসছিল৷
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়াকে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা ও উয়েফা৷ ফর্মুলা ওয়ানও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে৷
ইউক্রেনের প্রতি সংহতি
যুদ্ধ শুরুর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলোতে ইউক্রেনের পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে৷ ছবিতে এভারটনের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলারদের ইউক্রেনের পতাকা সম্বলিত পোশাক পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে৷ সেখানে লেখা আছে ‘নো ওয়ার’৷
ইউক্রেনের জন্য নিয়মভঙ্গ?
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের মিডল ইস্ট ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ফেলো জেমস ডোরসে বলেন, ‘‘ফিফাসহ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠনগুলো খেলার মাঠে যে কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছে৷ কিন্তু তারা এখন যেটা করছে, মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের জন্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে৷ ফিলিস্তিন তো আছে অবশ্যই, কিন্তু ইয়েমেন? কোথায় গেল, সিরিয়া? লিবিয়া?’’
স্কটল্যান্ডকে জরিমানা
গতবছর মে মাসে গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত হয়েছিল৷ সেই সময় ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বলেছিল, ফিলিস্তিন বা ইসরায়েলের পতাকা প্রদর্শনের জন্য প্লেয়ারদের জরিমানা করা হবে না৷ তবে অক্টোবরে স্কটল্যান্ড ও ইসরায়েলের মধ্যে খেলার সময় স্কটিশ ফ্যানরা ইসরায়েলের জাতীয় সংগীতের সময় ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে অবজ্ঞাসূচক ধ্বনি দেয়ায় ফিফা স্কটল্যান্ডকে ১০ হাজার সাতশ ডলার জরিমানা করেছিল৷
‘পশ্চিমা মিডিয়ার ন্যারেটিভের সঙ্গে মেলে না’
মিশরের স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়ন আলি ফারাজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনে যা হচ্ছে তাতে কারো খুশি হওয়া উচিত নয়৷ কিন্তু আমাদের কখনো খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে দেয়া হয়নি৷ কিন্তু হঠাৎ করে এখন সেই অনুমতি দেয়া হচ্ছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনিরা ৭৪ বছর ধরে নিপীড়িত হচ্ছে, কিন্তু আমার মনে হয় পশ্চিমা মিডিয়ার ন্যারেটিভের সঙ্গে এটা মেলে না বলে আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে পারি না৷’’
‘পশ্চিমা দেশের পক্ষে সবাই দাঁড়ায়’
মার্চের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার ক্লাব পার্সিব বান্ডুং এক খেলায় ‘স্টপ ওয়ার’ লেখা চিহ্ন প্রদর্শন করেছিল৷ তবে তাতে সমর্থন জানাননি মিডফিল্ডার ফিলিস্তিনের মোহামেদ রশিদ (বামে)৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যে কোনো দেশে যুদ্ধের বিরুদ্ধে৷ যখন পশ্চিমা দেশে যুদ্ধ শুরু হয় তখন সবাই তাদের পক্ষে দাঁড়ায়৷ কিন্তু ফিলিস্তিনে যখন মানুষ মারা যায় তখন আমরা সংহতি দেখানোর অনুমতি পাই না৷ আমাদের খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানোর দায় দেয়া হয়৷’’